দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 3

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 3দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 3

ঈমানের বিবরণ

ঈমান শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোন অদৃশ্য বস্তুতে বিশ্বাস স্থাপন করা। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে দৃশ্যমান এ বিশ্বের মাঝে সকল সৃষ্টি যেমন — জ্বিন-মানুষ, গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য, জীব-জানোয়ার, সাগর- মহাসাগর, কীট-পতঙ্গ, গাছপালা যা কিছু আমরা দেখতে পাচ্ছি এ সবের পালনকর্তা এবং তার সৃষ্টি সম্পর্কে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। 

তিনটি বিষয়ের মাধ্যমে ঈমানের প্রতিফলন ঘটে থাকে। যথা : ১। মুখে স্বীকার করা, ২। অন্তরে সে কথা বিশ্বাস করা; ৩। কাজের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা এবং এসব কিছু বাস্তবায়নের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর রিসালাতের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন লোক যখন ১ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) “আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।” 

এ পবিত্র বাক্যটি মুখে উচ্চারণ করল এবং অন্তরেও বিশ্বাস স্থাপন করল, এরপর যথাযথভাবে হুকুমসমূহ সে পালন করল তখনই সে ব্যক্তি মু'মিন হল। আল্লাহ্, রাসূল, ফিরিশতা, তাকদীর, কিয়ামাত, বেহেশত, দোযখ ইত্যাদি বিষয়াবলী সত্য বলে বিশ্বাস স্থাপন করল এবং সে অনুযায়ী আমল করারও অঙ্গীকার করল, যার মাধ্যমে তার বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তি প্রমাণিত হয়। কারণ মুখে স্বীকারের সাথে কাজের মিল না থাকলে সেটি নিছক মুখের বুলি মাত্র। 

কোরআনের পরিভাষায় এটি কালিমা ত্বাইয়্যেবাহ। কালিমা এমন একটি খোদায়ী আহ্বান যা প্রতিটি মু'মিনের জীবনে নিয়ে আসে নিরাপত্তা, স্বস্তি ও প্রশান্তি। ঈমান হল একটি বিরাট গাছের মত। যার শিকড় মাটির নিচে আর শাখা-প্রশাখা সমূহ আকাশে ছড়িয়ে আছে। প্রভুর আদেশে সে সর্বদা তার ফল দিয়েই যাচ্ছে। মূলকথা হল কালিমার সকল 'আমলই হল ঈমানের দাবি। 

ঈমানের শাখা-প্রশাখা সত্তরেরও অধিক। এর মধ্যে সর্বোচ্চটি হল “কালিমা ত্বাইয়্যেবাহ” মুখে উচ্চারণ করা। আর সর্বনিম্নটি হল “কষ্টদায়ক বস্তুসমূহ রাস্তা হতে দূরে সরিয়ে ফেলা।” আর লজ্জাশীলতা হল ঈমানের শাখাসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম শাখা। আল্লাহ্র প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন এবং তাঁর আনুগত্যের প্রতি নিজেকে সোপর্দ করার নামই হল অদৃশ্যে বিশ্বাস বা “ঈমান বিলগায়েব।” ঈমান বিলগায়েবের মোটামুটি দু'টি দিক রয়েছে। 

যথা ঃ ১। নিরাকার, আকৃতি-প্রকৃতিহীন আল্লাহ্র স্বত্বা এবং অস্তিত্বের স্বীকৃতি, তাঁর পবিত্র নামসমূহ এবং গুণাবলীসমূহের স্বীকৃতি। এরপর তাঁর যাবতীয় আদেশ-নিষেধসমূহ মেনে চলার অঙ্গীকার, যাকে বলা হয় “ঈমানে মুজমাল” ।

২। (ক) আল্লাহর স্বত্ত্বা এবং তাঁর অস্তিত্বে স্বীকৃতি। (খ) সকল ফিরিশতাদের প্রতি স্বীকৃতি। (গ) আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি স্বীকৃতি। (ঘ) রাসূলগণের প্রতি স্বীকৃতি। (ঙ) কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস। (চ) ভাগ্যের ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে এ কথার প্রতি বিশ্বাস। (ছ) মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার প্রতি বিশ্বাস করা, একে বলা হয় “ঈমানে মুফাচ্ছাল"।

মানুষ তার ইহজীবনের কর্মকাণ্ডসমূহ সম্পর্কে পরকালীন জীবনে জবাবদিহীতার কথাকে স্মরণ করে যাবতীয় কাজ সমাধা করবে। দুনিয়ার জীবনে তাওহীদ, রিসালাত ও ভালো-মন্দের দিকটা আল্লাহ্র দরবারে পেশ করে আখিরাতের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করাই উচিত। মানুষের অন্তরে পরকালীন জবাবদিহীতার গুরুত্ব যদি সম্যকভাবে স্থান না পায় তবে তার জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য ।

ঈমানের কঠিন অগ্নি পরীক্ষা হচ্ছে, আমরা কোন বস্তুকে স্বচক্ষে দেখব না অথচ তার প্রতি আমাদের দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে এটি অত্যন্ত দৃঢ় মানসিকতার পরিচায়ক। মহান আল্লাহ্র কুদরতের নিদর্শনাবলী আমাদের সম্মুখে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়। যা আমাদেরকে হতাশাগ্রস্ত অবস্থা হতে উদ্ধার করতে পারে। Dojokher Kothor Azab O Behester Moha Shanti.

এতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবার ঈমানের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের প্রতি কোরআন এবং হাদীসের কয়েকটি উদ্ধৃতি দেয়া হল। জান্নাত প্রাপ্তির জন্য একান্ত শর্ত হল ঈমান। এ ব্যাপারে হাদীস শরীফে রাসূলে কারীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন – “যার হাতে আমার জীবন সে পাকজাতের কসম, তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।” জান্নাত ও জাহান্নামের সংখ্যা কত ?

অন্য এক হাদীসে রাসূলে কারীম (সাঃ) ইরশাদ করেন—“কাফির ব্যক্তিরা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর কোন মু'মিন বান্দা দোযখে প্রবেশ করবে না।” উল্লিখিত হাদীস সমূহের আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মহান আল্লাহ্ এবং তদীয় রাসূলের উপর যারা আদৌ বিশ্বাস স্থাপন করবে না, তারা কখনও বেহেশতের সুখ-শান্তি ভোগ করতে পারবে না। 

আর যারা মহান আল্লাহ্ এবং তদীয় রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের নির্দেশিত পথে পরিচালিত হয়েছে, তারা কখনও দোযখের শাস্তি পাবে না। সুতরাং মানব জাতির উচিত তারা যেন মহান আল্লাহ্ এবং তদীয় রাসূলের নির্দেশিত পথে নিজেদের জীবন পরিচালনা করে জীবনকে ধন্য করে।

কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ্ ঘোষণা দিবেন—“হে আমার বান্দাগণ! আজকের এ কঠিন দিনে তোমাদের ভীতসন্ত্রস্ত হবার কোন কারণ নেই। 

তোমরা যদি আমার নির্দেশাবলীর ওপর আনুগত্য প্রকাশ করে থাক, তাহলে তোমাদের স্ত্রীগণকে নিয়ে আজকের দিনে তোমরা আনন্দের সাথে চির শান্তিময় রমণীয় স্থান বেহেশতের উদ্যানে প্রবেশ কর।”
অন্য আয়াতে আল্লাহ্ পাক ঘোষণা করেন—“আর যারা ঈমান গ্রহণের পর নেক কাজসমূহ সম্পাদন করেছে তারাই জান্নাতবাসী। উক্ত জান্নাতে তারা চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে। 

মহান আল্লাহ্ অন্য আয়াতে ঘোষণা করেন— “যারা ঈমান এনেছে এবং তার সাথে শির্ক করেনি তারাই সুখ-শান্তি এবং নিরাপত্তার অধিকারী এবং তারাই সৎপথপ্রাপ্ত।” ঈমান প্রধাণত দু'প্রকার। যথা : ১। ঈমানে মুজমাল (সংক্ষিপ্ত ঈমান) ২। ঈমানে মুফাচ্ছাল (বিস্তারিত ঈমান) নিম্নে এগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা
হল।

আল্লাহ্র উপর ঈমান

দৃশ্যমান এ বিশ্বভুবনে অসংখ্য সৃষ্টি রয়েছে যা মানুষের পক্ষে গণনা করা খুবই কষ্টসাধ্য। এসব জীব-জন্তু, গাছ-পালা কে সৃষ্টি করেছেন? কেন সৃষ্টি করছেন? কে তাদের লালন-পালন করেন? এতসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে গবেষ্ক ও সাধু ব্যক্তিগণ মহান আল্লাহ্র অসীম কুদরতের অনেক প্রমাণ ও পরিচয় পেয়ে থাকেন। আল্লাহ্র পরিচয়ের জন্য সাধারণ দৃষ্টিতে আমাদের একান্ত পরিচিত কতিপয় প্রাণীসমূহের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেই আল্লাহ্ কুদরত ও শক্তির পরিচয় পাওয়া যাবে। 

এ জন্য সহজ হল, যে ব্যক্তি নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে যে, এক সময়ে (জন্মের পর) যে নিতান্ত অসহায় ছিল । যার কোনরূপ চলার শক্তি ছিল না, নড়াচড়ার শক্তি ছিল না, সে কথা বলতে পারত না। ধীরে ধীরে সে ছোট্ট শিশুটি বড় হয়ে চলাফেরা করে একদেশ হতে অন্যদেশে ঘুরে বেড়াতে পারে এবং অত্যন্ত বাকপটু হয়ে থাকে। তার এসব কাজের জন্য নিশ্চয়ই একজন পালনকর্তা, ত্রাণকর্তা, মুক্তিদাতা অবশ্যই রয়েছেন। 

আর তিনিই হচ্ছেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এ বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্ তা'আলা । মহান আল্লাহ্ তা'আলার সৃষ্টিজগতের মধ্যে এক বিচিত্র সৃষ্টি হচ্ছে উট। যে মরুভূমিতে কোন প্রাণী টিকতে পারে না অথচ সে মরুভূমিতে বিনা কষ্টে উট চরে বেড়ায় এবং অনেক বড় বড় বালুকাময় মরুভূমিতে মালামালের বোঝা নিয়ে পাড়ি জমায়। 

এরা নিজের ইচ্ছামত নাকের ছিদ্র বন্ধ করতে এবং খুলতে পারে। মাঝে মধ্যে যখন মরুভূমিতে ধুলির ঝড় আরম্ভ হয় তখন উট নিজেদের নাকের ছিদ্র বন্ধ করে রাখে যাতে করে ধুলা-বালি নাকের ভেতর প্রবেশ করতে না পারে। উটের পিঠে আরোহণ করে মানুষ এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলে যেতে পারে। মহান আল্লাহ্ তাদের পায়ের পাতা খুব নরম তুলতুলে করে দিয়েছেন। 

যাতে বালির উপর চলাচল করার সময় তাদের পা আটকিয়ে না যায়। অনেক সময় এরা মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ১০/১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত পথ অতিক্রম করে থাকে। এ দীর্ঘ সময়ে পানি না পেলে তারা পিপাসায় কাতর হয়ে যায়। মহান আল্লাহ্ এ প্রাণীটির পাকস্থলির পার্শ্বে আলাদা একটি থলে দান করেছেন, উটেরা সে থলের মধ্যে পানি জমা করে রাখে। মরুভূমিতে চলার সময় কাতর হয়ে গেলে তারা ঐ থলেতে সঞ্চিত পানি হতে পান করে তৃষ্ণা নিবারণ করে। 

উট যেমন অনেক বড় ধরণের প্রাণী তেমনি তাদের খাদ্য-খাদকও অনেক বেশি। উটের চোয়াল খুবই শক্ত। এজন্য এরা মরুভূমিতে শক্ত বাবলা গাছের ডালসমূহ বিনাকষ্টে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ পাক উট সম্পর্কে ঘোষণা করে বলেন—“তারা কি দেখে না যে, কত কায়দা কৌশল করে উটকে সৃষ্টি করা হয়েছে?”(সূরা গাশিয়া)

পবিত্র কোরআন শরীফে মহান আল্লাহ্ তা'আলা জন্তু-জানোয়ার সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, যার সংক্ষিপ্তসার হল—“মহান আল্লাহ্ তা'আলা চতুষ্পদ জীবসমূহকে সৃষ্টি করেছেন । যা হতে তোমরা শীতের বস্ত্র তৈরি করে থাক এবং আরও অনেক উপকার পেয়ে থাক । 

এসব প্রাণীসমূহ হতে কতকের গোত তোমরা খেয়ে থাক। সন্ধ্যা বেলায় চারণভূমি হতে এসব জন্তুসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে এনে রাখ। আর সকাল বেলায় যখন আবার সেগুলোকে মাঠে চরানোর জন্য নিয়ে যাও তখনকার সে দৃশ্যটি কতই না সুন্দর দেখায় । 

কোন কোন পশু তোমাদের ভারী বোঝাসমূহ এক শহর হতে অন্য শহর-বন্দরে পৌঁছায়ে দেয় অথচ সেখানে পৌঁছতে তোমাদের অনেক কষ্ট হত । তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য অত্যন্ত মেহেরবান। তিনি তোমাদের জন্য উট, হাতি, ঘোড়া, ইত্যাদি প্রাণীসমূহ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা সেগুলোতে আরোহণ করতে পার। আর সেগুলো তোমাদের জন্য সৌন্দর্যের উপকরণও বটে। আর তিনি এমন বহু প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, যাদের সম্পর্কে তোমরা কিছুই অবগত নও।”

অসংখ্য, অগণিত পশু-পাখি দ্বারা মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকে । জ্ঞানী লোকদের জন্য এতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায়, পাখিদের উড়ার মধ্যেও মহান আল্লাহ্ সৃষ্টির নিদর্শন ও কুদরতের প্রমাণ পাওয়া যায়, এ ব্যাপারে উল্লেখ হয়েছে—“তারা কি তাদের মাথার উপর উড়ন্ত পাখিসমূহকে দেখে না? যে পাখিরা উড়ার সময় ডানা বিস্তার করে থাকে। আবার কখনও ডানা গুটিয়ে থাকে, মহান আল্লাহ্ তা'আলাই ঐ সমস্ত পাখিসমূহকে এভাবে শূন্যে চলার শক্তি দান করেছেন।” (সূরা মূলক)

আর এক ধরনের ক্ষুদ্র জীব মৌমাছি। এদের অস্তিত্ব এবং সাংগঠনিক কার্যাবলী দেখে সত্যিই আশ্চর্য হতে হয়। এসব ছোট্ট মৌমাছিরা দলবদ্ধভাবে বাসা বেঁধে মহান আল্লাহ্র সৃষ্ট বিভিন্ন গাছের পাতা, ফল-ফুলসমূহ হতে রস আহরণ করে বাসায় এনে জমা করে যা মধু আকার ধারণ করে। 

এরপর এক বিশেষ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ে ঐ মৌমাছির বাসা কেটে সে মধুর চাকা আহরণ করে পরিশুদ্ধ করে রোগমুক্তির জন্য পান করে থাকে। এছাড়া এ মধু দ্বারা রুটি, মুড়ি ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশিয়ে খায়। এর ভেতরেও মহান আল্লাহ্ রাব্বুল 'আলামীনের কুদরতের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে ।

মহান আল্লাহ্ সৃষ্টির সেরা আশরাফুল মাখলুকাতের খিদমতের জন্য ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। মানুষ স্বীয় জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেকের দ্বারা এসব হতে বিভিন্নভাবে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। যেমন—গাছ-গাছালি, তরু-লতা, শাক-সব্জি ইত্যাদি গাছ-গাছালীতে সুন্দর সুন্দর সুশোভিত বাগান সাজিয়ে রেখেছেন। এসব তরু-লতা ও শাক-সবজিসমূহের কোনটিকে মানুষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। 

আবার কোনগুলো ঔষধ হিসেবে, আবার কোনগুলো দিয়ে কাঠ তৈরি করে বিভিন্ন প্রকারের আসবাবপত্র তৈয়ার করে থাকে। এসবের ভেতরেও মহাপরাক্রম- শালী কুদরত ওয়ালা আল্লাহ্র কুদরতের অসীম নিদর্শন পাওয়া যায়। উল্লিখিত আলোচনা হতে বুঝা গেল যে, আসমান, জমিন, নদী-নালা এবং এসবের মধ্যে যা কিছু বিচরণ করছে এ সবের নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র মহান আল্লাহ্ পাক । 

আল্লাহ্ এক এবং অদ্বিতীয় । তাঁর কোন শরীক নেই। সুতরাং এতসব শক্তিমান, কুদরতওয়ালা মহান আল্লাহ্ই একমাত্র উপাসনা পাওয়ার যোগ্য, তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য হতে পারে না । এছাড়া বিশ্বভুবনের যেদিকেই তাকাবে সেদিকেই মহান আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের নিদর্শন আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। 

পাহাড়-পর্বতে আমাদের চক্ষুর অন্তরালে, জনারণ্যে, সমুদ্রের তলদেশে অসংখ্য জীব-জন্তুর অস্তিত্ব রয়েছে। সেসব প্রাণীরাও নিজ নিজ আহার পাচ্ছে, বংশ বৃদ্ধি করছে, শত্রুর আক্রমণ হতে নিজেদেরকে রক্ষা করছে। একটি ক্ষুদ্র প্রাণীও না খেয়ে থাকে না, সদা-সর্বদাই তাদের প্রতিপালক সৃষ্টিকর্তা তাদের খাদ্য দান করছেন। সারকথা, জীব-জন্তু ছোট হউক কিংবা বড় হউক কেউই আল্লাহ রহমত হতে বঞ্চিত নয় ।

Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন