দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 49

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 49

স্ত্রী নির্যাতন ইসলাম বিরোধী

স্ত্রীর উপর নির্যাতন করা এক ঘৃণ্য কাজ সন্দেহ নেই, তবুও এক শ্রেণীর পুরুষ তার যত বীরত্ব দেখায় স্ত্রীর উপর। পুরুষ তার কর্মজীবনে নানা প্রতিকুলতার সম্মুখীন হয়। ব্যবসায়ের ক্ষতির মুখোমুখি হয়, চাকরি ক্ষেত্রে কটুকথা শুনতে হয়। নানা কারণে তার মনমানসিকতা উত্তেজিত হয়ে থাকে। মেজাজ চড়ে থাকে সপ্তমে। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক পরিবেশে এসে স্ত্রীর সাথে ছেলেমেয়ে বা পরিবারের অনান্য সদস্যদের সাথে হাসি মুখে কথা বলে বা কৌতুক করে মনের ভার লাঘব করতে পারে ।

এই সহজ পথ অবলম্বন না করে এক শ্রেণীর পুরুষ মুখ গোমরা করে বাড়িতে আসে। তারপর স্ত্রীর সামান্য ত্রুটির কারণে বেচারীকে গালাগালি, নির্যাতন করে। পবিত্র কোরআনে বার বার স্বামীদেরকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “তোমরা স্ত্রীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করো।” আল্লাহর আদেশ অমান্য করে যারা স্ত্রীকে কষ্ট দেয়, পরে স্ত্রীর দোষ খোঁজে, তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা কঠিন শাস্তি নির্ধারণ করে রেখেছেন। 

যারা স্ত্রীর উপর নির্যাতন করে, তাদের দাম্পত্য জীবন থেকে সুখ-শান্তি চিরতরে বিদায় গ্রহণ করে। প্রতিমুহূর্তে তার স্ত্রী থাকবে তার উপর অসন্তুষ্ট। স্ত্রীর প্রেম ভালোবাসা হতে সে হবে বঞ্চিত।
পারিবারিক জীবনে শান্তি নেই, বাইরে কর্ম জগতেও নানা সমস্যা, এমন স্বামী পৃথিবীর সব চেয়ে বড় হতভাগা। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর উপর যে স্বামী নির্যাতন করে, তার এই নিষ্ঠুর নির্যাতনের সংবাদ প্রতিবেশীদের কাছে পৌঁছে। তখন স্বাভাবিকভাবেই সে স্বামী সমাজে মর্যাদাহীন হয়ে পড়ে। 

কারণে অকারণে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করবে, আবার যৌন কামনা চরিতার্থের জন্যে সেই স্ত্রীর দেহ ভোগ করবে এমন স্বামীর স্বভাব ও কুকুরের স্বভাবে কোন পার্থক্য নেই। কুকুর তার খাদ্যের অংশ স্ত্রী কুকুরকে দিতে নারাজ, স্ত্রী কুকুর খাদ্যের আশেপাশে এলে দাঁত বের করে তাড়া করবে। আবার তার মধ্যে যখন যৌন কামনা জাগবে তখন সে স্ত্রী কুকুরকে আহবান জানাবে। মানুষের স্বভাব এমন হওয়া উচিত নয়। দাম্পত্য জীবনে সুখশান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে স্ত্রীর তুলনায় স্বামীর দায়িত্ব অধিক। সুতরাং মুসলিম পরিবারে স্বামীদের স্ত্রীর প্রতি যত্নবান হতে হবে।

তাদের প্রতি নির্যাতন করা যাবে না। মহানবী (দ) বলেন, “তোমার স্ত্রী অঙ্গশায়িনীকে এমন নির্মমভাবে মারধোর কোরো না, যেমন করে তোমরা মেরে থাকো তোমাদের ক্রীতদাসীদের।” হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জামায়াতা (রা) বর্ণনা করেছেন, নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেনঃ “তোমাদের কেউ যেন তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসদের মারার মত না মরে, আর মারধোর করার পর দিনের শেষে তার সাথে যেন যৌন সঙ্গম না করে।” অর্থাৎ স্ত্রীর সাথে যৌনসঙ্গম করা তো এক স্বাভাবিক কাজ, কিন্তু স্ত্রীকে একদিকে মারধোর করা আর অপরদিকে সেদিনই তার সাথে যৌনসঙ্গম করা অত্যন্ত ঘৃণার্হ কাজ ।

এ দুয়ের মধ্যে কোন সামঞ্জস্য নেই। আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখেছেনঃ “স্ত্রীকে প্রচণ্ডভাবে মারধোর করা এবং সে দিনের বা সে রাতেরই পরবর্তী সময়ে তারই সাথে যৌনসঙ্গম করা এ দুটো কাজ এক সঙ্গে সম্পন্ন হওয়া যে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির দ্বারাই সম্ভব হতে পারে না ॥ হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। রাসূলে করীম (স) এর উপরোক্ত বাণীতে সেই কথাই বোঝানো হয়েছে । ইসলামিক কাহিনী। islamic history,

আর তারও কারণ এই যে, যৌনসঙ্গম সুন্দর ও মাধুর্যপূর্ণ হতে পারে যদি তা মনের প্রবল ঝোঁক ও তীব্র অদম্য আকর্ষণের ফলে সম্পন্ন হয়। কিন্তু প্রহৃতের মন প্রহারকারীর প্রতি যে ঘৃণা পোষণ করে, তা সর্বজনবিদিত।” বস্তুত স্ত্রীকে মারধোর না করা, তার ত্রুটি বিচ্যুতি যথাসম্ভব ক্ষমা করে দেয়া ও তার প্রতি দয়া অনুগ্রহ প্রদর্শন করাই অতি উত্তম নীতি, তাতে কোন সন্দেহ নেই। স্বয়ং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স) এই নীতি ও চরিত্রেই ভূষিত ছিলেন। 

হযরত আয়েশা (রা) বলেনঃ “রাসূলে করীম (স) তাঁর কোন স্ত্রীকে কিংবা কোন চাকর-খাদেমকে কখনো মারধোর করেননি- না তাঁর নিজের হাত দিয়ে, না আল্লাহর পথে। তবে যদি কেউ আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ করে, তবে সেই আল্লাহর জন্যে তার প্রতিরোধ গ্রহণ করতেন।” স্ত্রীদের মারধোর করা; গালাগাল করা এবং তাদের সাথে কোনরূপ অন্যায় জুলুম জাতীয় আচরণ গ্রহণ করতে নিষেধ করে রাসূলে করীম (স) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেনঃ “ তোমরা স্ত্রীদের আদৌ মারধোর করবে না এবং তাদের মুখমণ্ডলকে কুশ্রী ও কদাকার করে দিওনা।”

তিনি আরো বলেছেনঃ “আল্লাহর দাসীদের তোমরা মারধোর করো না।” লক্ষণীয় যে, স্ত্রীদেরকে এখানে ‘আল্লাহর দাসী' বলা হয়েছে, পুরুষদের বা স্বামীদের দাসী নয়। তাই তাদের অকারণ মারধোর করা কিংবা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার কোন অধিকার স্বামীদের নেই। অপর এক হাদীসে বলা তোমরা স্ত্রীদের মুখের উপর মারবে না, মুখমণ্ডলের উপর আঘাত হয়েছেঃ দেবে না, তাদের মুখের শ্রী বিনষ্ট করবে না, অকথ্য ভাষায় তাদের গালাগাল করবে না এবং নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য কোথাও তাদের বিচ্ছিন্নাবস্থায় ফেলে রাখবে না।” তবে কি স্ত্রীদের মারধোর করা আদৌ জায়েয নয়?

উপরোক্ত হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম খাত্তারী লিখেছেনঃ “ রাসূলের 'মুখের উপর মারবে না' উক্তি থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুখমণ্ডল ব্যতীত দেহের অন্যান্য অংশের উপর স্ত্রীকে মারধোর করা সঙ্গত। তবে শর্ত এই যে, তা মাত্রায় বেশি সীমালংঘনকারী ও অমানুষিক মার হতে পারবে না।” উপরে উদ্ধৃত হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল কাহলানী বুখারী লিখেছেনঃ “ হাদীসটি থেকে প্রমাণিত হয় যে, স্ত্রীকে খুব হালকাভাবে সামান্য মারধোর করা জায়েয।” কিন্তু স্ত্রীকে মারধোর করা কখন ও কি কারণে করা সংগত?

এ পর্যায়ে প্রথমে কুরআন মজীদের নিম্নোদ্ধৃত আয়াত পাঠ করা যেতে পারে। আয়াতটি হলঃ “আর যেসব স্ত্রীলোকের আনুগত্য ও বিদ্রোহের ব্যাপারে তোমরা ভয় কর, তাদের ভালভাবে বুঝাও, নানা উপদেশ দিয়ে তাদের বিনয়ী বানাতে চেষ্টা কর। পরবর্তী পর্যায়ে মিলন শয্যা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রাখ । আর (শেষ উপায় হিসেবে) তাদের মার। এরফলে যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তাহলে তাদের উপর অন্যায় ব্যবহারের নতুন কোন পথ খুঁজে বেড়িও না। 

নিশ্চিত আল্লাহই হচ্ছেন সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ।” এ আয়াতে দুনিয়ার মুসলিম স্বামীদের সম্বোধন করে বলা হয়েছে। 'ভয় করা' মানে জানতে পারা অথবা নিঃসন্দেহে বুঝতে পারা যে, স্ত্রী স্বামীকে মানছে না, অথচ স্বামীকে মেনে চলাই স্ত্রীর কর্তব্য। এরূপ অবস্থায় স্বামী কি করবে, তা-ই বলা হয়েছে এ আয়াতে । এখানে প্রথমে বলা হয়েছে স্ত্রীকে ভালভাবে বোঝাতে, উপদেশ দিতে ও নসীহত করতে, একথা তাকে জানিয়ে দিতে যে, স্বামীকে মান্য করে চলা, স্বামীর সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখার জন্যে আল্লাহ তা'আলাই নির্দেশ দিয়েছেন। 

এ নির্দেশ তাকে অবশ্যই পালন করতে হবে। অন্যথায় তার ইহকালীন দাম্পত্য জীবন ও পারিবারিক জীবন তিক্ত বিষাক্ত হয়ে যাবে, আর পরকালেও তাকে আল্লাহর আযাব ভোগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, অমান্যকারী স্ত্রীকে মিলনশয্যা থেকে সরিয়ে রাখা তার সাথে যৌন সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা। অন্য কথায় তাকে না শয্যা-সঙ্গী বানাবে, না তার সাথে যৌন সম্পর্ক বজায় রাখবে।ইসলামিক কাহিনী

আর তৃতীয়ত বলা হয়েছে তাকে মারধোর করতে। কিন্তু এ মারধোর সম্পর্কে একথা স্পষ্ট যে, তা অবশ্যই শিক্ষামূলক হতে হবে মাত্র। ক্রীতদাস ও জন্তু-জানোয়ারকে যেমন মারা হয়, সে রকম মার দেয়ার অধিকার কারো নেই। অতঃপর বলা হয়েছে, স্ত্রী যদি স্বামীকে মেনে নেয়, স্বামীর সাথে মিলমিশ রক্ষা করে বসবাস করতে রাযী হয় এবং তা-ই করে, তাহলে স্বামীর কোন অধিকার নেই তার উপর কোনরূপ অত্যাচার করার। 

তাকে একবিন্দু কষ্ট ও জ্বালাতন দেয়ার! আয়াতের শেষাংশে কোন উপযুক্ত কারণ ব্যতীত স্ত্রীকে কষ্ট দেয়া যে কতদূর অন্যায় তার দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, তারা যদিও অবলা, দুর্বল, তোমাদের জুলুম-পীড়ন থেকে আত্মরক্ষা করার সাধ্য যদিও তাদের নেই; তোমাদের অত্যাচারের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে তারা যদিও অক্ষম; কিন্তু তোমাদের ভুললে চলবে না যে, আল্লাহ হচ্ছেন প্রবল পরাক্রান্ত, শ্রেষ্ঠ শক্তিমান, তিনি অবশ্যই প্রত্যেক জালিমের জুলুমের প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন এবং সেজন্যে কঠোর শাস্তিদান করবেন।

অতএব তোমরা শক্তিমান বলে স্ত্রীদের উপর অন্যায়ভাবে ও অকারণে জুলুম করতে উদ্যত হবে, তা কিছুতেই হতে দেয়া যায় না। ফতওয়ায়ে কাজী খানে বলা হয়েছে স্বামী স্ত্রীকে চারটি অবস্থায় চারটি কারণে মারতে পারে। প্রথমতঃ স্বামীর ইচ্ছা ও নির্দেশ সত্ত্বেও স্ত্রী যদি সাজ-সজ্জা পরিত্যাগ করে। দ্বিতীয়তঃ স্বামী যৌন সঙ্গমের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সেজন্যে প্রস্তুত না হওয়া তার পবিত্র হায়েয মুক্ত থাকা সত্ত্বেও। islamic story,

তৃতীয়তঃ স্ত্রী যদি নামায তরক করে এবং চতুর্থতঃ স্ত্রী যদি স্বামীর বিনানুমতিতে ঘর থেকে বাইরে চলে যায়। স্ত্রী যদি স্বামীর প্রতি অবাধ্যতা প্রদর্শন করে তাহলে তাকে বোঝাতে হবে। এরপরে সে যদি পরিবর্তন না হয়, তখন শয্যা পৃথক করে দিতে হবে। এরপরেও যদি স্ত্রী স্বামীর আনুগত্য প্রদর্শন না করে তাহলে আসে শাসনের প্রশ্ন। 

তবুও সে শাসন অমানুষিক হবে না। সীমা লংঘন করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, শাসন হলো শেষ অস্ত্র । এই শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করতে হবে অত্যন্ত বিচার বিবেচনা করে। কারণ এই অস্ত্র প্রয়োগের পরে তালাক ব্যতীত আর দ্বিতীয় কোন পথ খোলা থাকে না। আর নিঃসন্দেহে তালাক হলো অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। এই ঘৃণিত কাজকে ইসলাম কোন পর্যায়ে জায়েয করেছে সেটা বুঝে শুনেই স্ত্রীর সাথে আচরণ করতে হবে।

ঐ ব্যক্তি উত্তম যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর নিকট উত্তম পরিবারের কর্তা হলো স্বামী। সুতরাং স্বামীর চরিত্র কেমন সেটা তার স্ত্রী ভালোভাবেই অবগত থাকে। বাড়ির বিশ্বস্ত চাকর, গাড়ির ড্রাইভার জানে, তার সাহেব কোন চরিত্রের। সাহেব কোথায় কোথায় যায় সেটা ড্রাইভার বুঝতে পারে। অপর দিকে ঘরের স্ত্রী জানে, তার স্বামী সৎভাবে উপার্জন করে না অসৎভাবে উপার্জন করে। স্বামী রাতের নির্জন পরিবেশে আরামে নিদ্রা যায় না আল্লাহর ভয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলে। 

যৌন মিলনের সময় স্বামী পশুর ন্যায় আচরণ করে না আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী মানুষের ন্যায় যৌন মিলন করে। সুতরাং স্ত্রীই বলতে পারে তার স্বামী সত্যকারেরই একজন ভদ্রলোক। এ কারণে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছেঃ “ স্ত্রীদের সাথে যথাযথভাবে খুব ভাল ব্যবহার করবে।"

এ আয়াতের ব্যাখ্যা আল্লামা কাসেমী লিখেছেনঃ “ স্ত্রীদের সাথে কার্যত ইনসাফ করে আর ভাল ও সম্মানজনক কথা বলে একত্রে বসবাস করে যেন, তোমরা স্ত্রীদের বিদ্রোহ বা চরিত্র খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে না বসো। এ ধরনের কোন কিছু করা তোমাদের জন্যে আদৌ হালাল নয়।”
আল্লামা আ-লুসী লিখেছেনঃ “তাঁদের সাথে ভালভাবে ব্যবহার করো আর 'ভালোভাবে' মানে এমনভাবে যা শরীয়াত ও মানবিকতার দৃষ্টিতে অন্যায় নয় খারাপ নয়।" 

এ 'ভালভাবে' কথার মধ্যে এ কথাও শামিলঃ “ স্ত্রীকে মারধোর করবে না, তার সাথে খারাপ কথাবার্তা বলবে না এবং তাদের সাথে সদা হাসিমুখে ও সন্তুষ্টচিত্তে সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে।” তাফসীরকারদের মতে এ আয়াত থেকে এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, স্ত্রী যদি ঘরের কাজকর্ম করতে অক্ষম হয় বা তাতে অভ্যস্ত না হয়, তাহলে স্বামী তার যাবতীয় কাজ করিয়ে দেবার ব্যবস্থা করতে বাধ্য। স্ত্রীদের সাথে ভাল ব্যবহার করা পূর্ণ ঈমান ও চরিত্রের লক্ষণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেনঃ “ যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম, নিষ্কলুষ সে সবচেয়ে বেশি পূর্ণ ঈমানদার। আর তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হচ্ছে সে, যে তার স্ত্রীর নিকট সবচেয়ে ভাল ।”

অপর এক হাদীসে স্ত্রীদের ব্যাপারে রাসূলে করীম (স) এর নিজের ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ “তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল লোক সে যে তার পরিবার ও স্ত্রী পরিজনের পক্ষে ভাল। আর আমি আমার নিজের পরিবারবর্গের পক্ষে তোমাদের তুলনায় অনেক ভাল। তোমাদের সঙ্গী। স্ত্রী বা স্বামী যদি মরে যায়, তাহলে তার কল্যাণের জন্যে তোমরা অবশ্যই দোয়া করবে।” “তোমরা আল্লাহর দাসীদের মারধোর কর না।” তখন হযরত উমর ফারূক (রা) রাসূলের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ “ আপনার এ কথাটি শুনে স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের উপর খুবই বাড়াবাড়ি শুরু করে দিয়েছে।” 

তখন নবী করীম (স) তাদেরও মারবার অনুমতি দিলেন। একথা জানতে পেরে বহু সংখ্যক মহিলা রাসূলের ঘরে এসে উপস্থিত হল এবং তারা তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে নানা প্রকারের অভিযোগ পেশ করল। সব কথা শুনে নবী করীম (স) বললেনঃ “ বহু সংখ্যক মহিলা মুহাম্মদের পরিবারবর্গের নিকট এসে তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে গেছে। মনে হচ্ছে, এসব স্বামী তোমাদের মধ্যে ভাল লোক নয়।

” অন্য কথায়ঃ “ বরং তোমাদের মধ্যে উত্তম লোক হচ্ছে তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের মারপিট করে না বরং তাদের অনেক কিছুই তারা সহ্য করে নেয়। (অথবা বলেছেন) তাদের প্রতি প্রেম-ভালবাসা পোষণ কর, তাদের কঠিন মার মারে না এবং তাদের অভাব-অভিযোগগুলো যথাযথভাবে দূর করে।” স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রেম-ভালবাসার উপঢৌকন বিনিময়
স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীকে মাঝে মাঝে নানা ধরনের চিত্তাকর্ষক দ্রব্যাদি দেয়া। স্ত্রীরও যথাসাধ্য তাই করা উচিত। 

যার যে রকম সম্বল ও সামর্থ্য, সেই অনুপাতে যদি পরস্পরে উপহার দ্রব্যের আদান-প্রদান হয়, তাহলে তার ফলে পারস্পরিক আকর্ষণ, কৌতূহল ও হৃদয়াবেগ বৃদ্ধি পাবে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের প্রতি থাকবে সদা সন্তুষ্ট। এজন্যে রাসূলে করীম (স) এর একটি সাধারণ ও সংক্ষিপ্ত উপদেশ সব সময় স্মরণে রাখা কর্তব্য। তাহলো : “তোমরা পরস্পর উপহার উপঢৌকনের আদান-প্রদান করো। দেখবে,এর ফলে তোমাদের পারস্পরিক ভালবাসার সৃষ্টি হয়েছে। 

পারস্পরিক প্রেম-ভালবাসার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।” অপর এক হাদীসে বলা খারাপ নয়।" এ 'ভালভাবে' কথার মধ্যে এ কথাও শামিলঃ “ স্ত্রীকে মারধোর করবে না, তার সাথে খারাপ কথাবার্তা বলবে না এবং তাদের সাথে সদা হাসিমুখে ও সন্তুষ্টচিত্তে সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে।” তাফসীরকারদের মতে এ আয়াত থেকে এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, স্ত্রী যদি ঘরের কাজকর্ম করতে অক্ষম হয় বা তাতে অভ্যস্ত না হয়, তাহলে স্বামী তার যাবতীয় কাজ করিয়ে দেবার ব্যবস্থা করতে বাধ্য। 

স্ত্রীদের সাথে ভাল ব্যবহার করা পূর্ণ ঈমান ও চরিত্রের লক্ষণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেনঃ “ যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম, নিষ্কলুষ সে সবচেয়ে বেশি পূর্ণ ঈমানদার। আর তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হচ্ছে সে, যে তার স্ত্রীর নিকট সবচেয়ে ভাল ।”
অপর এক হাদীসে স্ত্রীদের ব্যাপারে রাসূলে করীম (স) এর নিজের ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ “তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল লোক সে যে তার পরিবার ও স্ত্রী পরিজনের পক্ষে ভাল। আর আমি আমার নিজের পরিবারবর্গের পক্ষে তোমাদের তুলনায় অনেক ভাল। তোমাদের সঙ্গী। 

স্ত্রী বা স্বামী যদি মরে যায়, তাহলে তার কল্যাণের জন্যে তোমরা অবশ্যই দোয়া করবে।” “তোমরা আল্লাহর দাসীদের মারধোর কর না।” তখন হযরত উমর ফারূক (রা) রাসূলের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ “ আপনার এ কথাটি শুনে স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের উপর খুবই বাড়াবাড়ি শুরু করে দিয়েছে।” তখন নবী করীম (স) তাদেরও মারবার অনুমতি দিলেন। একথা জানতে পেরে বহু সংখ্যক মহিলা রাসূলের ঘরে এসে উপস্থিত হল এবং তারা তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে নানা প্রকারের অভিযোগ পেশ করল। 

সব কথা শুনে নবী করীম (স) বললেনঃ “ বহু সংখ্যক মহিলা মুহাম্মদের পরিবারবর্গের নিকট এসে তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে গেছে। মনে হচ্ছে, এসব স্বামী তোমাদের মধ্যে ভাল লোক নয়।” অন্য কথায়ঃ “ বরং তোমাদের মধ্যে উত্তম লোক হচ্ছে তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের মারপিট করে না বরং তাদের অনেক কিছুই তারা সহ্য করে নেয়। 

(অথবা বলেছেন) তাদের প্রতি প্রেম-ভালবাসা পোষণ কর, তাদের কঠিন মার মারে না এবং তাদের অভাব-অভিযোগগুলো যথাযথভাবে দূর করে।” স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রেম-ভালবাসার উপঢৌকন বিনিময়
স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীকে মাঝে মাঝে নানা ধরনের চিত্তাকর্ষক দ্রব্যাদি দেয়া। স্ত্রীরও যথাসাধ্য তাই করা উচিত। যার যে রকম সম্বল ও সামর্থ্য, সেই অনুপাতে যদি পরস্পরে উপহার দ্রব্যের আদান-প্রদান হয়, তাহলে তার ফলে পারস্পরিক আকর্ষণ, কৌতূহল ও হৃদয়াবেগ বৃদ্ধি পাবে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের প্রতি থাকবে সদা সন্তুষ্ট। 

এজন্যে রাসূলে করীম (স) এর একটি সাধারণ ও সংক্ষিপ্ত উপদেশ সব সময় স্মরণে রাখা কর্তব্য। তাহলো : “তোমরা পরস্পর উপহার উপঢৌকনের আদান-প্রদান করো। দেখবে,এর ফলে তোমাদের পারস্পরিক ভালবাসার সৃষ্টি হয়েছে। পারস্পরিক প্রেম-ভালবাসার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।” অপর এক হাদীসে বলা কর্তব্য, যখন সে নিজের জন্যে এগুলোর ব্যবস্থা করতে সমর্থ হবে।” আল্লামা আল-খাত্তাবী লিখেছেনঃ “এ হাদীস স্ত্রীর খোরাক পোশাকের যাবতীয় ব্যয়তার বহন করা স্বামীর উপর ওয়াজিব করে দিচ্ছে। 

এ ব্যাপারে কোন সীমা নির্দিষ্ট নেই, প্রচলন মতই তা করতে হবে, করতে হবে স্বামীর সামর্থানুযায়ী। আর রাসূলে করীম (স) যখন একে 'অধিকার' বলেন তখন তা স্বামীর অবশ্য আদায় করতে হবে৷ সে উপস্থিত থাক, কি অনুপস্থিত। সময়মত তা পাওয়া না গেলে তা স্বামীর উপর অবশ্য দেয় ঋণ হবে৷৷ যেমন অন্যান্য হক৷ অধিকারের ব্যাপারে হয়ে থাকে।"
স্বামী-স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্যে নিজেকে সজ্জিত করবে পোষাক মানুষকে একটা ভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য দান করে। 

গোঁফ-দাড়ি, হাত ও পায়ে নখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে স্ত্রীর নিকট যাওয়াও স্ত্রীর অধিকার স্বামীর উপর এবং তা স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীর প্রতি। স্বামী যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে স্ত্রীর নিকট উপস্থিত হয়, তবে তাতে স্ত্রীর মনে আনন্দের ঢেউ খেলে যাওয়া স্বাভাবিক । কেননা তাতে প্রমাণ হয় যে, স্বামী স্ত্রীর মন জয় করার জন্যে বিশেষ যত্ন নিয়েছে এবং পূর্ণ প্রস্তুতি সহকারেই সে স্ত্রীর নিকট হাজির হয়েছে। 

অপরিচ্ছন্ন, মলিন দেহ ও পোশাক নিয়ে স্ত্রীর নিকট যাওয়া স্বামীর একেবারেই অনুচিত। স্ত্রীরও কর্তব্য স্বামীর ইচ্ছানুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও সে অবস্থায়ই স্বামীর নিকট যাওয়া। এজন্যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সাবান ও অন্যান্য জরুরী প্রসাধন দ্রব্য সংগ্রহ করে দেয়া স্বামীর কর্তব্য। হযরত ইবনে আব্বাস এ পর্যায়ে একটি নীতি হিসেবে বলেছেনঃ “আমি স্ত্রীর জন্যে সাজসজ্জা করা খুবই পছন্দ করি, যেমন পছন্দ করি স্ত্রী আমার জন্যে সাজসজ্জা করুক।”

স্ত্রী অসুস্থ হলে স্বামীর দায়িত্ব

নারী মায়ের জাত। তারা সন্তান প্রসব করে পৃথিবীতে মানব বংশ বৃদ্ধি করে। সন্তান গর্ভে ধারণ করা ও নির্দিষ্ট সময়ে প্রসব করা,সন্তানকে লালন-পালন করা যে কত কঠিন কাজ, তা অনুভব করাও কল্পনাতিত। একজন পুরুষ কখনো কখনো নারীর সে ব্যথা-বেদনা কখনো উপলব্ধি করতে পারবে না ।

এ সমস্ত কারণে স্ত্রী ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। সংসারের অন্যান্য কাজকর্ম করতে সে অপারগ হয়ে পড়তে পারে। তখন স্বামীর একান্ত কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা। অসুস্থ অবস্থায় স্ত্রীকে যৌন মিলনে বাধ্য না করা। স্ত্রীর বিপদে-আপদে, রোগে-শোকে তার প্রতি অকৃত্রিম সহানুভূতি প্রদর্শন করা স্বামীর কর্তব্য। 

স্ত্রী রোগাক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করা স্বামীরই দায়িত্ব। বস্তুত স্ত্রী সবচেয়ে বেশি দুঃখ পায় তখন, যখন তার বিপদে-শোকে তার স্বামীকে সহানুভূতিপূর্ণ ও দুঃখ ভারাক্রান্ত দেখতে না পায় অথবা স্ত্রীর যখন কোন বিপদ হয়, শোক হয় কিংবা রোগ হয়, তখন স্বামীর মন যদি তার জন্যে দ্রবীভূত না হয়, বরং তখন স্বামীর মন মৌমাছির মত অন্য
ফুলের সন্ধানে উড়ে বেড়ায়, তখন বাস্তবিকই স্ত্রীর দুঃখ ও মনোকষ্টের কোন অবধি থাকে না। 

এজন্যে নবী করীম (স) স্ত্রীর প্রতি দয়াবান ও সহানুভূতিপূর্ণ হবার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এর সাধারণ নিয়ম হিসেবে বলেছেনঃ “ যে লোক নিজে অপরের জন্যে দয়াপূর্ণ হয় না, সে কখনো অপরের দয়া-সহানুভূতি লাভ করতে পারে না।”
কোন্ স্বামী আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত
স্বামী-স্ত্রীর যৌন জীবন একান্ত গোপন জীবন। এ সম্পর্কে স্বামী ও স্ত্রীই শুধু অবগত থাকবে। অন্য কেউ নয় । স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম-ভালবাসার আদান-প্রদান হয়, হয় পারস্পরিক মনের গোপন কথা বলাবলি । 

একজন তো অকৃত্রিম আস্থা ও বিশ্বাস নিয়েই অপরজনকে তা বলেছে, এখন যদি কেউ অপর কারো কথা কিংবা যৌন-মিলন সংক্রান্ত কোন রহস্য অন্য লোকদের কাছে বলে দেয়, তাহলে একদিকে যেমন বিশ্বাস ভঙ্গ হল অপরদিকে লজ্জার কারণ ঘটল।
এই কারণে ইসলামে এ কাজকে সম্পূর্ণ নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। বস্তুত একজন যদি তাদের স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক প্রেম-ভালবাসার কথা বাইরের কোন লোক-নারী বা পুরুষকে বলে দেয়, তাহলে শ্রোতার মনে সেই স্ত্রী বা পুরুষের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

আর যদি কেউ যৌন সঙ্গম কার্যের বিবরণ অন্য লোকের সামনে প্রকাশ করে,তাহলে তার গোপনীয়তা বিলুপ্ত হয়, গুপ্ত ব্যাপারাদি উন্মুক্ত ও দৃশ্যমান হয়ে উঠে।
কোন নেকবত স্ত্রীর দ্বারাও যেমন এ কাজ হতে পারে না, তেমনি কোন আল্লাহ ভীরু ব্যক্তির দ্বারাও এ কাজ সম্ভব নয়। বিশেষভাবে মেয়েরাই এ ব্যাপারে অগ্রসর হয়ে থাকে বলে কুরআনে তাদের গুণাবলীর বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ তারা অতিশয় বিনীতা, অনুগতা অদৃশ্য কাজের হেফাযতকারিনী। আল্লাহর হেফাযতের সাহায্যে।” 

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার হচ্ছে এই যে, সে স্ত্রীর গোপন কথা অপরের নিকট প্রকাশ করে দেবে না। নবী করীম (স) তীব্র ভাষায় নিষেধ করেছেন এ ধরনের কোন কথা প্রকাশ করতে। বলেছেনঃ যে স্বামী নিজ স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় ও স্ত্রী মিলিত হয় তার স্বামীর সাথে, অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।প্রচার করে, সেই স্বামী আল্লাহর নিকট মর্যাদার দিক দিয়ে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি।”

ইমাম নব্বীর মতে এ কাজ হচ্ছে হারাম। তিনি উক্ত হাদীসের ভিত্তিতে বলেছেনঃ “ স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের মধ্যে যৌন-সম্ভোগ সম্পর্কিত গোপন বিষয় ও ঘটনা প্রকাশ করা এ হাদীসে সম্পূর্ণরূপে হারাম করে দেয়া হয়েছে।” একদিন রাসূলে করীম (স) নামাযের পরে উপস্থিত সকল সাহাবীকে বসে থাকতে বললেন এবং প্রথমে পুরুষদের লক্ষ্য করে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন পুরুষ কেউ আছে নাকি, যে তার স্ত্রীর নিকট আসে, ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়, তারপর বের হয়ে এসে লোকদের সাথে কথা বলে ও বলে দেয়ঃ আমি আমার স্ত্রীর সাথে এই করেছি, এই করেছি?”

হাদীস বর্ণনাকারী বলেছেন- এ প্রশ্ন শুনে সব সাহাবীই চপ থাকলেন। তারপরে মেয়েদের প্রতি লক্ষ্য করে তাদের নিকট প্রশ্ন করলেনঃ “ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে নাকি, যে স্বামী-স্ত্রীর মিলন রহস্যের কথা প্রকাশ করে ও অন্যদের বলে দেয়? তখন এক যুবতী মেয়ে বলে উঠলঃ “ আল্লাহর শপথ, এই পুরুষরা যেমন সে কথা বলে দেবে, তেমনি এই মেয়েরাও তা প্রকাশ করে।' তখন নবী করীম (স) বললেনঃ “ তোমরা কি জানো, এরূপ যে করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে যেন একটি শয়তান, সে তার সঙ্গী শয়তানের সাথে রাজপথের মাঝখানে সাক্ষাত করল, অমনি সেখানে ধরেই তার দ্বারা নিজের প্রয়োজন পূর্ণ করে নিল । 

আর চারদিকে লোকজন তাদের তাকিয়ে দেখতে থাকলো।”
এ পর্যায়ে দুটো হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম শাওকানী লিখেছেনঃ “ এ দুটো হাদীসই প্রমাণ করছে যে, স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গমকার্য প্রসঙ্গে যত কিছু এবং যা কিছু ঘটে থাকে, তার কোন কিছু প্রকাশ করা অন্যদের কাছে বলে দেয়া সম্পূর্ণ হারাম।”

Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন !