খতমে ইউনুস
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু যোয়ালিমীনা ।
অর্থ : হে আল্লাহ্! আপনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। আমি আপনারই পবিত্রতা ঘোষণা করছি। নিশ্চয়ই আমি অপরাধীগণের মধ্যে গণ্য ।
নিয়মঃ উক্ত দোয়াটি এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পাঠ করাকে খতমে ইউনুস বা বড় খতম বলা হয় ।
আল্লাহ্ পাক কোন এক সময় হযরত ইউনুস (আঃ)-এর উপর অসন্তুষ্ট হওয়ার কারণে মাছে তাঁকে খেয়ে ফেলেছিল।
ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন মাছের পেটে থেকে তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে একান্ত আগ্রহের সাথে নিম্নের দোয়াটি পাঠ করার ফলে মহান আল্লাহ্ তা'আলা নবী ইউনুস (আঃ)-কে মুক্ত করেছিলেন এবং এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ তা'আলা ঘোষণা করেন-
(ওয়া কাযালিকা নুনজিল মু'মিনীন।)
অর্থ : এবং আমি এভাবেই ঈমানদারগণকে বিপদ হতে উদ্ধার করব। নিয়ম : উক্ত দোয়া প্রতি একশত বার পর্যন্ত পড়া শেষ হলে নিম্নের দোয়াটি একবার পাঠ করবে। ইসলামিক কাহিনী।
উচ্চারণ : ফাসতাজাবনা লাহু ওয়ানাজাইনাহু মিনাল গাি ওয়াকাযালিকা নুনজিল মু'মিনীনা।
অর্থ ঃ অতঃপর আমি তাঁর দোয়া কবুল করেছি এবং আমি তাঁকে ঘোর বিপদ হতে উদ্ধার করেছি, আর আমি বিপদগ্রস্ত ঈমানদার বান্দাদেরকেও রক্ষা করে থাকি।
ফমীলত : বুযুর্গ লোকগণ বলেছেন, যদি কোন লোক বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে বা বিপদের আশংকা থাকে এবং তাড়াতাড়ি উদ্ধার পেতে চায়, তবে মহান আল্লাহ্র সে ওয়াদার উপর ভরসা রেখে উক্ত দোয়াটি খালেছ নিয়্যতে পাক-পবিত্র অবস্থায় এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পাঠ করবে। মহান
আল্লাহ্ তাদেরকে ঘোর বিপদ হতে ইনশাআল্লাহ্ উদ্ধার করবেন ।
ফমীলত : পবিত্র হাদীস গ্রন্থে নবী আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেন- মহান আল্লাহ্ তা'আলার আসমায়ে হুসনা (গুণবাচক সুন্দর নামসমূহ) ৯৯টি। এগুলো দ্বারা দোয়া প্রার্থনা করার জন্য মহান আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ দান করে উল্লেখ করেন--
(ওয়ালিল্লাহিল আসমাউল হুসনা ফাদ'উহু বিহা)
অর্থ : আল্লাহ্ তা'আলার সবগুলো নামই সুন্দর, অতএব তোমরা এসব নামের দ্বারাই তাঁকে ডাক ।
সুতরাং যে ব্যক্তি এসব নামসমূহ মুখস্থ করে ওযীফার মত করে পড়তে থাকবে, সে ব্যক্তি অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে।
ইসমে আযম
ইসমে আযম অর্থ অধিক বড় সম্মানিত নাম। মহান আল্লাহ্ পাকের অসংখ্য অগণিত নাম রয়েছে। এ সবের মধ্যে যিনি যে দোয়ার মাধ্যমে
নিজের উদ্দেশ্য ও সফলতা লাভ করেছেন তিনি সে দোয়া-কালামটিকেই "ইসমে আযম” বলে উল্লেখ করেছেন।
সুতরাং দোয়া কবুল হওয়া সম্পর্কে কদরের রাত এবং জুম্মার দিনের কবুলীয়তের যেরূপ নির্দিষ্ট কোন সময় দেয়া হয়নি, অনুরূপভাবে ইসমে আযমকেও এরূপ নির্দিষ্ট করা হয়নি এ জন্য যে, যাতে করে দোয়াকারী ব্যক্তি নিজের সকল প্রয়োজনের খাতিরে উক্ত নামের সন্ধানে মহান আল্লাহর কালাম অধিক পরিমাণে পাঠ করে দোয়া করে এবং এরূপ বেশি পাঠ করার ফলে বেশি পরিমাণ প্রশংসা করার সৌভাগ্য অর্জন করে। যেহেতু সবচেয়ে বড় ইবাদাত হল বেশি পরিমাণে আল্লাহর প্রশংসা করা।
তবে নির্ভরযোগ্য বর্ণনা হতে কয়েকটি ইসমে 'আযম নিম্নে উল্লেখ করা হল।
• পবিত্র হাদীসে উল্লেখ আছে, আল্লাহ তা'আলার ইসমে আজন
উচ্চারণ ঃ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনার যোয়ালিমীন।
ফযীলত ঃ উল্লিখিত দোয়া পাঠ করার সাথে যে প্রার্থনা করা হয় মহান আল্লাহ্ তা'আলা সে দোয়া কবুল করেন। আর এ দোয়া পাঠের সাথে মহান আল্লাহর নিকট যা কিছু চাওয়া হয় দয়াময় আল্লাহ্ তা দান করেন।
• অন্য এক হাদীসে উল্লেখ্য আছে, আল্লাহ্ তা'আলার ইসমে আযম হল-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআরী আশহাদু আন্নাকা আন্তাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল আহাদুজ্জামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদুন।
ফযীলত : এ আয়াতের মধ্যেই মহান দয়াময় আল্লাহ্র ইসমে আযম রয়েছে। এ আয়াত পাঠ করে দায়াময় প্রভুর নিকট যা প্রার্থনা করা হবে নিশ্চয়ই দয়াময় আল্লাহ তা দান করবেন এবং যে কোন প্রকারের দোয়া করা হয় তা আল্লাহ্ কবুল করেন।
• অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে, নিম্নলিখিত আয়াতে কারীমাতেই ইসমে আযম রয়েছে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকাল হান্নানুল মান্নানু, বাদী‘উচ্ছামাওয়াতে ওয়াল আরছি ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম।
ফযীলত : মহান আল্লাহ্ তা'আলার সবচেয়ে বড় নাম, এ নাম দ্বারা যখনই কোন দোয়া করা হয় মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই সে দোয়া কবুল করেন, আর আল্লাহ্র নিকট যা কিছু চাওয়া হয় তাই তিনি দান করেন।
• অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে, নিম্নলিখিত আয়াত দু'টির মধ্যেই ইসমে আযম রয়েছে—
উচ্চারণ : ওয়া ইলাহুকুম ইলাহুওঁ ওয়াহিদুন লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহীমু। আলিফ-লাম-মীম আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম- (আল্লাহ্ ভালো জানেন)।islamic history,
দরূদ পাঠের ফযীলত
পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে—“যে মজলিসের মধ্যে লোক একত্রিত হল অথচ উক্ত মজলিসে না আল্লাহ্পাকের যিকির করল, আর না নবী কারীম (সাঃ)-এর ওপর দরূদ ও সালাম পাঠাল, তবে তাদের এ মজলিস কিয়ামতের দিন তাদের জন্য (যিকির ও দরূদ না পড়ার কারণে) আক্ষেপ ও অনুতাপের কারণ হবে। যদিও তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকাল হান্নানুল মান্নানু, বাদী‘উচ্ছামাওয়াতে ওয়াল আরছি ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম।
ফযীলত : মহান আল্লাহ্ তা'আলার সবচেয়ে বড় নাম, এ নাম দ্বারা যখনই কোন দোয়া করা হয় মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই সে দোয়া কবুল করেন, আর আল্লাহ্র নিকট যা কিছু চাওয়া হয় তাই তিনি দান করেন।
• অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে, নিম্নলিখিত আয়াত দু'টির মধ্যেই ইসমে আযম রয়েছে—
উচ্চারণ : ওয়া ইলাহুকুম ইলাহুওঁ ওয়াহিদুন লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহীমু। আলিফ-লাম-মীম আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম- (আল্লাহ্ ভালো জানেন)।
দরূদ পাঠের ফযীলত
পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে—“যে মজলিসের মধ্যে লোক একত্রিত হল অথচ উক্ত মজলিসে না আল্লাহ্পাকের যিকির করল, আর না নবী কারীম (সাঃ)-এর ওপর দরূদ ও সালাম পাঠাল, তবে তাদের এ মজলিস কিয়ামতের দিন তাদের জন্য (যিকির ও দরূদ না পড়ার কারণে) আক্ষেপ ও অনুতাপের কারণ হবে। যদিও তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
অন্য এক হাদীসে নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, প্রকৃত কৃপণ ঐ ব্যক্তি যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হল অথচ সে আমার ওপর দরূদ পাঠালো না। নবী (সাঃ) আরও ইরশাদ করেন—ঐ ব্যক্তি অপমানিত ও অপদস্ত হউক যার সামনে আমার আলোচনা করা হল, অথচ সে আমার
ওপর দরূদ পাঠ করল না।
• অন্য এক হাদীসে নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন—যার সম্মুখে আমার আলোচনা হবে তার উচিত সে যেন আমার উপর দরূদ পাঠায় । কারণ যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠাবে তার উপর মহান আল্লাহ্ পাক দশটি রহমত নাযিল করবেন।”
• শায়খ আবু সুলায়মান দারানী (রহঃ) বলেন, যখন তোমরা মহান আল্লাহ্ তা'আলার নিকট নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য দোয়া করবে তখন দোয়ার আগে নবী (সাঃ)-এর ওপর দরূদ ও সালাম পাঠাও।
এর পর যত ইচ্ছা দোয়া এবং পরিশেষে দরূদ পাঠাও। কারণ মহান প্রভু নিজ ওয়াদা অনুযায়ী নিজ অনুগ্রহে এ দরূদ শরীফ অবশ্যই কবুল করবেন এবং আল্লাহ পাকের দয়া ও করুণার পক্ষে এটি বড়ই অসম্ভব যে, তিনি এর মাঝখানের দোয়াকে কবুল করবেন না ।
• হযরত আলী (রাঃ) বলেন—“প্রত্যেক দোয়া আল্লাহ পাকের দরবারে পৌছতে ঐ সময় পর্যন্ত দেরি হয়, যতক্ষণ দোয়াকারী নবী কারীম (সাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ না করে ।
দরূদে তুনাজ্জীনা
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন ছালাতান তুনাজ্জীনা বিহা মিন জামী'য়িল আহওয়ালি ওয়াল আফাতি ওয়াতাক্বদ্বীলানা বিহা জামী'য়িল হাজাতে ওয়াতুত্বাহিরুনা বিহা মিন জামী'য়িচ্ছাইয়্যিয়াত, ওয়া তারফাউনা বিহা ‘ইনদাকা আ'লাদ্দারাজাতি, ওয়াতুবাল্লিগুনা বিহা আকুছাল গায়াতি। মিন জামী'য়িল খায়রাতি ফিলহায়াতি ওয়া বা'দাল মামাতি ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্কাদীরুন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন ।
অর্থ : হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের মহান নেতা হযরত মুহাম্মদ (স)-এর ও তাঁর বংশধরগণের উপর নানাভাবে রহমত নাযিল কর এবং এ দরূদের উসিলায় আমাদেরকে সকল বিপদাপদ হতে মুক্তি দাও এবং আমাদের সকল ইচ্ছা পূর্ণ কর, সকল পাপ কাজ হতে আমাদেরকে পবিত্র রাখ এবং আমাদেরকে তোমার কাছে সম্মানের উচ্চাসনে স্থান দাও এবং আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে সকল প্রকার মঙ্গলের শেষ সীমায় পৌঁছে দাও, অবশ্যই তুমি সর্বশক্তিমান এবং সর্বোচ্চ দয়াবান, তোমার নিজ দয়ায় আমাদের বাসনাসমূহ পূর্ণ কর ।
ফযীলত : যে কোন কঠিন বিপদ-আপদ হতে মুক্তির জন্য এ দরূদ শরীফ পাঠ করা হয় বলে একে “দরূদে তুনাজ্জীনা” বা মুক্তির দরূদ বলে । এটি মুনাজাত এবং দরূদ উভয় প্রকারে পাঠ করা যায়। এটি কঠিন মামলা-মোকদ্দমা হতে মুক্তির জন্যও পাঠ করলে অসংখ্য ফল লাভ করা যায়। এ দরূদ পাঠ করলে চাকুরি হারাবার ভয় থাকে না ।
Disclaimer: যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ! |