দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 38

কয়েকটি সূরা ও আয়াতের ফযীলত

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 38


সূরা ফাতিহা

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন। আর রাহ্মানির রাহীম । মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা না‘অবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতা'য়ীনু। ইহুদিনাচ্ছিরাত্বাল মুসতাক্বীমা, ছিরাত্বাল্লাযীনা আন'আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্ধ দ্বোয়াল্লীন । আমিন!


অর্থ ঃ (১) সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্র জন্য, যিনি সকল সৃষ্টিজগতের পালনকর্তা। (২) যিনি অতিশয় মেহেরবান এবং দয়ালু। (৩) যিনি শেষ বিচারের দিনের অধিপতি। (৪) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। (৫) আমাদেরকে সরল-সোজা পথ দেখাও। (৬) ঐ সমস্ত লোকদের পথ, যাদেরকে তুমি নি‘আমাত দান করেছ। (৭) তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি তোমার গযব অবতীর্ণ হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।


ফযীলত : পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহ তথা—তাওরাত, জাবুর ও ইঞ্জিলে এ সূরার মত ফযীলত উল্লিখিত নেই। এ সূরাটি সকল রোগেরই মহৌষধ। অর্থাৎ, এ সূরা খালেছ অন্তরে অত্যন্ত পাক-পবিত্রতার সাথে পাঠ করে রোগীর উপর দম দিলে ইনশাআল্লাহ্ আরোগ্য লাভ হবে।

এটি নামাযের প্রতি রাক'আতে পাঠ করা হয়। এ সূরাটির উম্মুল কোরআন, ফাতিহাতুল কোরআন, সাব'য়ি মাসানীসহ অনেক নাম রয়েছে।

আয়াতুল কুরসী

ফযীলত সমূহ : (১) প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর এবং রাতে এশার নামাযের পর শোয়ার সময় যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক উক্ত পাঠকারীর স্বয়ং রক্ষণাবেক্ষণকারী হবেন। জ্বিন-পরী, দেও-দানবের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়া যায় । সকল প্রকার বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। মনের সকল প্রকার নেক বাসনা পূর্ণ হয় এবং রুজী-রোজগারে উন্নতি হয়। ইসলামিক কাহিনী


প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর বিশেষ করে ফরয নামাযের পর একবার করে পাঠ করলে অত্যন্ত আরামের সাথে রুহ কবজ করা হয় । ঘর হতে বের হবার সময় অথবা বিদেশে রওয়ানা হবার সময় এ আয়াতসমূহ পাঠ করলে সকল প্রকার বিপদ হতে নিরাপদে থাকা যায় এবং যাবতীয় উদ্দেশ্য সফল হয়।


(২) পবিত্র হাদীস শরীফে এ আয়াতকে কোরআন শরীফের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে বর্ণনা করেছে। এ আয়াতে মহান আল্লাহ্ তাআলার কুরসী বা পবিত্র অবস্থান সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে বলে একে আয়াতুল কুরসী নামে অভিহিত করা হয়। এ আয়াতে আল্লাহ তা'আলার বিশেষ কতগুলো গুণ এবং প্রশংসার বিষয় উল্লিখিত হয়েছে।


পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিতভাবে পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া উক্ত ব্যক্তির আর কোন রোগ হতে পারে না। এছাড়া রাতে শোয়ার সময় এ দোয়া পাঠ করে ঘুমালে বাড়ীঘর নিরাপদে থাকবে। জ্বিন ও ইনসানের ক্ষতি হতে রক্ষা পাবার জন্য এশার নামাযের পর তিনবার উক্ত দোয়া পাঠ করে দু'হাতে তিনবার ফুঁ দিয়ে তিনটি তালি বাজাবে। ইন্‌শাআল্লাহ্ নিরাপদে রাত যাপন করবে।


উচ্চারণ : আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা-হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু । লা- তা'খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওউম, লাহু মা ফিচ্ছামাওয়াতে ওয়ামা ফিল আরদ্বি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া'লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইউহীতুনা বিশাইয়িম মিন 'ইলমিহী ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসি‘আ কুরসীয়্যুহুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা । ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুয়াল ‘আলীয়্যুল ‘আযীমু।


অর্থ ঃ এক আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ্ অনাদি, অনন্ত, চিরজীবন্ত, স্থাপনকর্তা, রক্ষাকর্তা, আল্লাহ্ চির-চৈতন্যময়, এক মুহূর্তকালের জন্যও তিনি চেতনাহীন হন না বা নিদ্রাভিভূত অথবা তন্দ্রাভিভূত হন না। এক আল্লাহ্ই আকাশ-পৃথিবীতে জীবজন্তু, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, মানব-দানব, দেবতা-ফেরেশতা, শক্তি, বিজ্ঞান যা কিছু আছে সে সবের মালিক ও স্বত্বাধিকারী এবং একচ্ছত্র বাদশাহ। islamic history,


আল্লাহ্র আদেশের বিরুদ্ধে কারো আদেশ করা দূরে থাকুক তাঁর নিকট সুপারিশ করারও ক্ষমতা কারো থাকবে না শুধু তিনি যাদেরকে সন্তুষ্ট হয়ে অনুমতি দিবেন শুধু তাঁরাই সুপারিশ করতে পারবেন, তাছাড়া তিনি যার উপর সন্তুষ্ট নন তেমন কেউ একটু সুপারিশও করতে পারবে না ।


আল্লাহ্র রাজত্ব, আল্লাহ্ সিংহাসন সমস্ত আকাশ পৃথিবীব্যাপী । সমস্ত আকাশ পৃথিবীর রক্ষণাবেক্ষণে আল্লাহ্র বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয় না। আল্লাহ্র শক্তি আল্লাহ্ মহিমা তার চেয়ে অনেক বেশি, অনেক ঊর্ধ্বে।


সূরা বাক্বারার শেষ দু’আয়াত

ফযীলতসমূহ ঃ (১) প্রতিদিন সকালে ও বিকালে নিম্নের আয়াতসমূহ পাঠকারী ব্যক্তির মনের সকল আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ হয় এবং সকল প্রকার বালা-মুসীবাত দূর হয় আর পাঠকারীর কোনরূপ অভাব অনটন থাকে না । রাত্রে শোয়ার সময় পাঠ করলে নিরাপদে থাকা যায়। এছাড়া এ দোয়া পাঠ করে মহান আল্লাহর নিকট যা চাওয়া হয় ইন্‌শাআল্লাহ্ তা পূরণ হয় ।


(২) পবিত্র বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে উল্লেখ আছে যে, উক্ত আয়াতসমূহ রাতের বেলায় পাঠ করলে ইন্‌শাআল্লাহ্ নিরাপদে থাকবে। এছাড়া উক্ত আয়াতসমূহ যথানিয়মে পাঠ করে মহান আল্লাহর নিকট যা প্রার্থনা করবে মহান আল্লাহ্ তার সে প্রার্থনা কবুল করবেন।


(৩) অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে যে, উক্ত আয়াতে কারীমা আরশের নিচের ধনভাণ্ডার হতে দেয়া হয়েছে। এটি আল্লাহ্ তাআলার রহমত, নৈকট্য লাভের উছিলা ও দোয়া । এটা ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর অন্তত একবার করে পাঠ করা উচিত

সুতরাং এ-দোয়াটি নিজেরা শিক্ষা করতে এবং স্ত্রী-পুত্র ও সন্তানদেরকে শিক্ষা দান করার জন্য হাদীসে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে পাঠের কলে নিম্নলিখিত ফল লাভ করা যায় ।


(৪) উক্ত সূরা রাতে পাঠ করে ঘুমালে কোনরূপ চুরি-ডাকাতির ভয়

থাকে না।

(৫) কঠিন বিপদের সময়ে আয়াতুল কুরসী এবং নিম্নলিখিত আয়াতসমূহ পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে বিপদ হতে মুক্তি পাওয়া যায় ।

(৬) একটি নির্দিষ্ট সময়ে আয়াতুল কুরসী ও নিম্নলিখিত আয়াতসমূহ পাঠ করলে আর্থিক অভাব দূর হয়, ঋণ পরিশোধ হয়।


শত্রুর শক্তি কমে যায় এবং মনের আশা পূর্ণ হয় 

উচ্চারণ : আমানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহে মির রাব্বিহি ওয়াল মু'মিনূনা। কুল্লুন আমানা বিল্লাহে ওয়ামালা-ইকাতিহি ওয়াকুতুবিহি ওয়া রুসূলিহি, লানুফাররিকু বাইনা আহাদিম্ মির রুসূলিহি। ওয়া কালু সামি না ওয়াআত্মানো গুফরানাকা রাব্বানা ওয়াইলাইকাল মাছীরু। লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফছান ইল্লা উস‘আহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাছাবাত । 


রাব্বানা লা তুআখেযনা ইন্নাছীনা আও আখত্বানা রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল ‘আলাইনা ইছরান কামা হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্‌মিলনা মা লা ত্বাকাতালানা বিহি ওয়া ফু ‘আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ার হামনা আনতা মাওলানা ফানসুরনা 'আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।


অর্থ : যা কিছু রাসূলের রব্ব অবতীর্ণ করেছেন, তার প্রতি রাসূল ও মুমিনরা ঈমান এনেছে, সবাই আল্লাহ, ফেরেশতা, কিতাব এবং রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছে ; তারা বলে ঃ আমরা রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করি

তোমার কাছেই প্রত্যাবর্তন। আল্লাহ সামর্থ্যের বাইরে কারো উপর দায়িত্ব চাপান না, প্রত্যেকেই কর্মফল ভোগ করবে; আর রব্ব! ভুল কিংবা ত্রুটি করলে আমাদেরকে অপরাধী করো না ; হে রব্ব! 


আমাদের উপর গুরু-দায়িত্ব দিও না, যেমনটি দিয়েছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের ; হে রব্ব ! আমাদের উপরে এমন বোঝা চাপিও না যা বহন করিবার শক্তি আমাদের নাই, আমাদেরকে মার্জনা কর, ক্ষমা কর, এবং দয়া কর, তুমিই আমাদের প্রভু-মনিব, তাই কাফের দলের উপর আমাদের বিজয়ী কর।


সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত

উচ্চারণ : হুয়াল্লাহুল্লাযী লা ইলাহা ইল্লাহু 'আলেমুল গাইবে ওয়াশ্ শাহাদাতি হুয়ার রাহমানুর রাহীমু। হুয়াল্লাহুল্লাযী লাইলাহা ইল্লাহু, আল মালেকুল কুদ্দুসুস্স্সালামুল মু'মিনুল মুহাইমিনুল 'আযীযুল জাব্বারুল মুতাকাব্বিরু। সুবহানাল্লাহে ‘আম্মা ইউশরিকূনা। হুয়াল্লাহুল খালেকুল বারেউল মুছাওয়্যেরু লাহুল আসমাউল হুসনা, ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিচ্ছামাওয়াতে ওয়ালআরদ্ধে ওয়াহুয়াল 'আযীযুল হাকীমু ।


অর্থ : আল্লাহ্ তিনি, যিনি ব্যতীত আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নেই, তিনি গুপ প্রকাশজ্ঞ,তিনি দয়ালু, দয়াময়। আল্লাহ্ তিনি বাদশা পবিত্র নির্দোষ, পবিত্র, নির্দোষ, মহান, কাফেরগণ কর্তৃক বর্ণিত অংশীদারদের থেকে আল্লাহ্

পবিত্র। তিনি আল্লাহ্ স্রষ্টা নির্মাতা তাঁর বহু উত্তম নাম আছে। তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে আসমান ও জমিনের সমুদয় বস্তু, তিনি প্রতাপশালী, সুকৌশলী।


ফযীলত : যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর নিম্নলিখিত তিনটি আয়াত পাঠ করবে মহান আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফিরিশ্তা পাপসমূহের ক্ষমা প্রার্থনার জন্য দোয়া করার জন্য নিযুক্ত করেন। আর পাঠকারী ব্যক্তি ঐদিন মৃত্যুবরণ করলে ইনশাআল্লাহ্ শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।


আয়াতে কুতুব

উচ্চারণ : ছুম্মা আনযালা ‘আলাইকুম মিম্ বা'দিল গাম্মি আমানাতা নু‘আসাই ইয়াশী ত্বায়িফাতাম মিনকুম, ওয়াত্বায়িফাতুন, কাদ আহাম্মাতহুম আনফুসুহুম ইয়াযুনুনা বিল্লাহি গাইরাল হাক্বক্বি যন্নাল জাহিলিয়্যাতি, ইয়াকুলূনা হাল লানা মিনাল আমরি মিন শাইয়্যিন। কুল ইন্নাল আম্রা কুল্লুহু লিল্লাহি । 


ইউখফূনা ফী আনফুসিহিম মা লা ইউবদূনা লাক্, ইয়াকুলূনা লাও কানা লানা মিনাল আমরি শাইয়্যুম মা কুতিলনা হাহুনা। কুল লাও কুনতুম ফী বুয়ুতিকুম লাবারাযাল্লাযীনা কুতিবা 'আলাইহিমুল কাতলু ইলা মাদ্বাজি'য়িহিম, ওয়ালি ইয়াবতালিয়াল্লাহু মা ফী ছুদূরিকুম ওয়ালি ইউমাহিছা মা ফী কুলূবিকুম। ওয়াল্লাহু ‘আলীমুম্‌ বিযাতিচ্ছুদূরে ।


ফযীলত : পবিত্র কোরআন শরীফের এ আয়াতটি আয়াতে কুতুব নামে প্রসিদ্ধ। এ আয়াত পাঠের অসংখ্য ফযীলত রয়েছে। নিম্নে এর কয়েকটি ফযীলত উল্লেখ করা হল ।

(১) এ আয়াতের নিয়মিত আমলকারী মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করতে সমর্থ হয় এবং এর দ্বারা সংসারে সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ।


(২) ফজর ও মাগরিবের পর নিয়মিতভাবে পাঠকারীর পরিবারস্থ সকলে ইনশাআল্লাহ নিরাপদে বাস করতে পারবে।

(৩) কোন কঠিন উদ্দেশ্য সফল হবার জন্য ৪০ দিন পর্যন্ত ৪০০ বার করে পাঠ করলে উদ্দেশ্য সফল হবে।

(৪) শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য ৯ দিন পর্যন্ত ২৯ বার করে পাঠ করলে

শত্রু ধ্বংস হবে।

(৫) হিংসুকের হিংসা হতে রক্ষা পাবার জন্য ২৯ দিন পর্যন্ত ২৯ বার করে পাঠ করলে রক্ষা পাওয়া যায় ।

হয় ।


(৬) চাকুরি লাভের জন্য ১০ দিন পর্যন্ত ১০ বার করে পাঠ করতে

(৭) ধন-সম্পত্তি, ছেলেমেয়ে ও শরীর সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক ৫ বার করে পাঠ করবে।

(৮) কোন শত্রুর সাথে দেখা করতে যাবার সময় এবং সকল প্রকার উদ্দেশ্য সফল হবার জন্য দিনে তিনবার পাঠ করতে হয় ।


আয়াতে শেফা বা কঠিন রোগ মুক্তির দোয়া

উচ্চারণ : ওয়াইয়াশফি ছুদূরা ক্বাওমিম্ মু'মিনীনা ওয়া শিফাউল্লিমা ফিচ্ছুদূরি, ইয়াখরুজু মিম্‌তুনিহা শারাবুম মুখতালিফুন আলওয়ানুহু ফীহি শিফাউলিন্নাসি। ওয়া নুনালুি মিনাল কুরআনি মাহুয়া শিফাউওঁ ওয়া রাহ্মাতুল্লিল মু'মিমীনা। ওয়াইযা মারিদ্বতু ফাহুয়া ইয়াশফীনা কুলহুয়া লিল্লাযীনা আমানূ হুদাওঁ ওয়া শিফাউন ।


ফযীলত : উল্লিখিত আয়াতে কারীমাকে আয়াতে শেফা বলা হয়। কোনরূপ কঠিন রোগ হতে মুক্তি লাভের জন্য এটি বিশেষ উপকারী ।

নিয়ম : সাদা চিনা মাটির বাসনে মেশক ও জাফরান কালি দ্বারা উক্ত গলায় বেঁধে দিতে হয় । আয়াতসমূহ লিখে পানি দ্বারা ধৌত করে খাওয়াতে হয় অথবা তাবিজরূপে গলায় বেধে দিতে হয়। 


Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন !