দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 39

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 39


সূরা ইয়াসীন

শানে নুযুল : মক্কার লোকেরা হযরত রাসূলে কারীম (সা)-কে উপহাস করে বলত যে, আবদুল মুত্তালিবের নাতী নিরক্ষর ও এতীম অসহায় হয়ে কিভাবে নবুওয়্যাতির দাবি করতে পারে? মহান আল্লাহ্ তাআলা কাফির সম্প্রদায়ের এ উপহাস এবং কটূক্তির প্রতিবাদে হযরত রাসূলে কারীম (সা)-এর নবুওয়্যাতির সত্যতা প্রমাণ করে এ সূরাটি নাযিল করেন। পবিত্র হাদীস শরীফে এ সূরাটিকে ।

(কালবুল কোরআন) অর্থাৎ—“কোরআনের অন্তর” বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ সূরাটি পবিত্র কোরআনে হাকীমের অন্যতম প্রসিদ্ধ ও কল্যাণকর সূরা। এ সূরাতে যে সব বিষয়াবলি বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে—১। আল্লাহ্র একত্ববাদ ও অদ্বিতীয়তা এবং শক্তি-মহিমার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। ২। ঐশী বাণী ও পবিত্র কোরআনের অলৌকিকতার স্পষ্ট প্রমাণ। 

৩। হযরত রাসূলে কারীম (সা)-এর নবুওয়্যাতী এবং রিসালাতের সত্যতা ৪। পরকালের পুনর্জীবন । মানব জীবনের শেষ পরিণতির বিবরণ এবং প্রত্যেক মোমিনগণের উপর এসব বিষয়ের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য কর্তব্য আর এ সবের সমর্থনই মূলত এ সূরার আসল উদ্দেশ্য।

ফযীলতসমূহ : ১। হযরত রাসূলে কারীম (সা) ইরশাদ করেছেন যে, এ সূরা একবার পাঠ করলে দশবার কোরআন শরীফ খতম করার ছাওয়াব হয় । পাঠকের সকল গুনাহসমূহ মাফ হয়। (তিরমীযি, দারেমী)
২। দারেমী ও মারফু হাদীসে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি সর্বদা সূর্য উদয়ের সময় এ সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, ইন্‌শাআল্লাহ্ তার সকল অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে এবং অতিশীঘ্রই সে ব্যক্তি ধনবান ও ঐশ্বর্যশালী
হবে। ইসলামিক কাহিনী ।

৩। মুমূর্ষু ব্যক্তির শিয়রে বসে এ পবিত্র সূরাটি পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা লাঘব হয় । আর কবরের নিকট গিয়ে দাঁড়িয়ে পাঠ করলে কবরের 'আযাব বন্ধ হয়ে যায়
৪। জ্বীনে আছরগ্রস্থ রোগীর উপর এ সূরা পাঠ করে ফুঁ দিলে আছর দূর হয়। কোন রোগগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত লোকের গলায় এ সূরা লিখে তাবিজ বানিয়ে গলায় পরিয়ে দিলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় এবং সকল প্রকার বদনজর হতে মুক্ত থাকা যায় ।

৫। আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমদের হাদীসে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি রাতের বেলায় এ সূরা পাঠ করে ঘুমাবে সকালবেলায় সে লোক নিষ্পাপ অবস্থায় ঘুম হতে উঠবে এবং পূর্বেকার সকল গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায় । এছাড়া এ সূরা নিয়মিত পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের মাঠে এ সূরা মহান আল্লাহ্র নিকট সুপারিশ করবে।

৬। হযরত ইবনুল কলবী বর্ণনা করেছেন যে, একজন মজলুম ব্যক্তি কোন একজন কামেল লোকের নিকট উপস্থিত হয়ে জালেমের অত্যাচার হতে মুক্তি লাভের জন্য প্রতিকারের ব্যবস্থা জিজ্ঞেস করেন। উক্ত কামেল লোকটি তাকে বলে দিলেন যে, তুমি ঘর হতে বেরুবার সময় সূরা ইয়াসীন পাঠ করে বের হবে। উক্ত মাজলুম ব্যক্তি এ ‘আমলের বরকতে মৃত্যু পর্যন্ত অত্যাচারীর অত্যাচার হতে নিরাপদে ছিল ।

৭। এ সূরার ‘আমল দ্বারা মনের বাসনা পূরণ করতে হলে সুবহে সাদিকের সময় ঘুম হতে উঠে ফজরের সুন্নাত নামায আদায় করবে। এরপর পশ্চিম দিকে মুখ করে এগারবার দরূদ শরীফ পাঠ করে সূরা ইয়াসীন পাঠ করা আরম্ভ করবে এবং সাত মুবীন পর্যন্ত পড়ে শেষ করবে। এরপর পুনরায় এগারবার দরূদ শরীফ পাঠ করে ফজরের ফরয নামায আদায় করে সিজদায় গিয়ে নিজের কামনা-বাসনা সম্পর্কে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবে। এভাবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত করবে ইন্‌শাআল্লাহ্ এতে শুভফল লাভ হবে । (বহু পরীক্ষিত)

৮। সূরা ইয়াসীনের নিম্নলিখিত নিয়মে ‘আমলের ফলে মানুষের যে কোন অভাব ও কামনা-বাসনা থাকুকনা কেন, তা পূরণ হয়। এরূপ ‘আমলকারীর দোয়া কবুল হয়। যেমন—সূরা ইয়াসীনের চার স্থানে
(আর রাহমান) শব্দ ও তিন স্থানে (আল্লাহ্) শব্দ রয়েছে। এভাবে সূরা মুলকেও আছে। সূরা ইয়াসীন পাঠ করার সময় যখন(আর রাহমান) শব্দের নিকট আসবে তখন ডান হাতের কনিষ্ঠা অঙ্গুলী বন্ধ করবে এবং যখন আল্লাহ
শব্দের নিকট আসবে তখন বাম হাতের কনিষ্ঠা অঙ্গুলী বন্ধ করবে। 

সূরার শেষ পর্যন্ত পৌঁছে দেখা যাবে ডান হাতের চারটি ও বাম হাতের তিনটি অঙ্গুলী বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর সূরায়ে মুল্ক পড়তে আরম্ভ করবে এবং যখন
(আর রাহমান) শব্দের নিকট আসবে তখন ডান হাতের কনিষ্ঠা অঙ্গুলী খুলে দিবে আর যখন (আল্লাহ্) শব্দের নিকট আসবে তখন বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলী খুলে দিবে এরূপভাবে সূরার শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ডান হাতের চারটি ও বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল খুলে যাবে। একাধারে নিয়মিত চল্লিশ দিন পর্যন্ত এ ‘আমল করতে থাকলে ইন্‌শাআল্লাহ্ সকল মনোবাসনা পূর্ণ হবে।

৯। হযরত রাসূলে কারীম (সা) ইরশাদ করেছেন—যে ব্যক্তি নিয়মিত ভাবে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে তার জন্য বেহেশতের ৮টি দরজা খোলা থাকবে ।
১০। হযরত হারেস বিন আকরামাহ্ (রা) বর্ণনা করেছেন যে, ভীত ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন পাঠ করলে তার ভয় দূর হয়। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি পাঠ করলে সে আরোগ্য লাভ করে । আর ক্ষুধার্ত ব্যক্তি পাঠ করলে তার খাদ্যের সংস্থান হয়ে যায় ।
১১। সূরা ইয়াসীন এক টুকরা কাগজে লিখে সঙ্গে রাখলে জ্বিন-ভূত ইত্যাদির আছর ও রোগ শোক হতে মুক্ত থাকা যায়। তিনবার পাঠ করে কোন রোগীর উপর ফুঁ দিলে রোগ আরোগ্য লাভ করবে ।

সূরা ইয়াসীনের বাংলা উচ্চারণ 

১। ইয়া-সীন। ২। ওয়াল কুরআনিল হাকীম। ৩। ইন্নাকা লামিনাল মুরসালীন। ৪। ‘আলা ছিরাত্বিম মুস্তাক্বীম। ৫। তানযীলাল্ ‘আযীযির্ রাহীম। ৬। লিতুনযিরা ক্বাওমাম্ মা-উনযিরা আ-বা-উহুম ফাহুম থাফিলুন। ৭। লাক্কাদ হাক্কক্কাল ক্বাওলু ‘আলা আকছারিহিম ফাহুম লা ইউ'মিনূন। ৮। ইন্না জা‘আলনা ফী আ‘নাক্কিহিম আঞ্চলা-লান ফাহিয়া ইলাল আজক্কানি ফাহুম মুকুমাহুন। ৯। ওয়া জা‘আলনা মিম বাইনি আইদীহিম সাদ্দাওঁ ওয়ামিন খালফিহিম সাদ্দান ফা আশ্বশাইনাহুম ফাহুম লা ইউবছিরূন। 

১০। ওয়া সাওয়াউন 'আলাইহিম আ-আনযারতাহুম আমলামতুনযিরহুম লা ইউ'মিনূন। ১১। ইন্নামা তুনযিরু মানিত্তাবা'আ যিক্রী ওয়াখাশিয়ার্ রাহমানা বিল ধাইবি ফাবা শিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজ্বরিন কারীম। ১২। ইন্না নাহ্নূ নুহয়িল মাউতা ওয়া নাকতুবু মা ক্বাদ্দাম্ ওয়া আ-ছা-রাহুম, ওয়া কুল্লা শাইয়্যিন আছাইনা-হু ফী ইমামিষ্ মুবীন। ১৩। ওয়াদ্বরিব লাহুম মাছালান আছহাবাল কারইয়াহ। ইব জ্বায়াহাল মুরসালূন। ১৪। ইয আরসালনা ইলাইহিমুছ্ নাইনি ফাকায্যাবৃ হুমা ফা'আয্যানা বিছালিছিন ফাক্কাল ইন্না ইলাইকুম মুরসালূন। 

১৫। ক্বাল্ মা আনতুম ইল্লা বাশারুম্ মিছলূনা, ওয়ামা আনযালার্ রামানু মিন শাইয়্যিন ইন আনতুম ইল্লা তাকযিবৃন। ১৬। কাল্ রাব্বুনা ইয়া'লামু ইন্না ইলাইকুম লামুরসালূন। ১৭। ওয়ামা ‘আলাইনা ইল্লাল্‌ বালাগুল মুবীন। ১৮ । কাল্ ইন্না তাত্বাইয়্যারনা বিকুম লায়িল্লাম তানতাহু লানারজুমান্নাকুম ওয়ালা ইয়ামাস্ সান্নাকুম মিন্না ‘আজাবুন ‘আলীম । ১৯। ক্বাল্ ত্বা য়িরুকুম মা'আকুম, আ'য়িন যুক্তিরতুম বাল আনতুম ক্বাওমুম্ মুসরিফূন। 

২০। ওয়াজা-য়া মিন আক্বছাল মাদীনাতি রাজুলুই ইয়াস'আ কালা ইয়া ক্বাওমিত্তাবি‘উল মূরসালীনা, ২১। ইত্তাবিউি মাল্লা ইয়াসআলূকুম আজ্বরাও ওয়াহুম মুতাদূন । ২২। ওয়ামা লিইয়া লা আ'বুদুল্লাজী ফাত্মারানী ওয়া ইলাইহি তুরজ্বা‘উন। ২৩। আআত্তাখিযু মিন দূনিহি আ লিহাতান ইয়্যুরিদনিরাহমানু বিছুররিল্লা তুম্বনি ‘আন্না শাফা'আতাহুম শাইআওঁ ওয়ালা ইউনকিযূন। ২৪। ইন্নী ইযাল্লাফী দ্বালালিম মুবীন। ২৫। ইন্নী আমানতু বিরাব্বিকুম ফাসমা'উন । 

২৬। কীলাদ খুলিল জান্নাতা জ্বালা ইয়া লাইতা ক্বাওমী ইয়া'লামূন। ২৭। বিমা থাফারালী রাব্বী ওয়া জ্বা‘আলান মিনাল মুকরামীন। ২৮। ওয়ামা আনযালনা ‘আলা ক্বাওমিহি মিম্ বা‘দিহি মিন জুনদিম মিনাসামায়ি ওয়ামা কুন্না মুনযিলীন । ২৯। ইন কানাত ইল্লা ছাইহাতাওঁ ওয়াহিদাতান ফাইযা হুম খা মিদূন। ৩০। ইয়া হাসরাতান ‘আলাল ‘ইবাদি, ৩১। মা, ইয়া’তীহিম মির্ রাসূলিন ইল্লা কা-নূ বিহি ইয়াসতাউিন। 

৩১। আলাম ইয়ারাও কাম অহলাকনা কাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্নাহুম ইলাইহিম লা ইয়ারজিউন। ৩২। ওয়া ইন কুল্লুল্লাম্মা জামী'উল্লাদাইনা মুদ্বারূন। ৩৩। ওয়া আ-ইয়াতুঁল্লাহুমুল আরদুল মাইতাতু, আহ-ইয়াইনাহা ওয়া আখরাজ্বনা মিনহা হাব্বান ফামিনহু ইয়া-কুলূন্। ৩৪। ওয়াজ্বা আলনা ফীহা জান্নাতিম মিন্নাখীলিওঁ ওয়া আ'নাবিওঁ ওয়া ফাজ্জারনা ফীহা মিনাল উইউন। ৩৫। লিইয়া’কুলূ মিন ছামারিহি ওয়ামা ‘আমিলাতহু আইদীহিম আফালা ইয়াশকুরূন।

 ৩৬। সুবহানাল্লাযী খালাকাল আযওয়াজ্ব কুল্লাহা মিম্মা তুমবিতুল আরদু ওয়া মিন আফুসিহিম ওয়ামিম্মা লা ইয়া'লামূন্। ৩৭। ওয়া আ-ইয়াতুল্লাহুমুল্লাইল, নাসলাখু মিনহুন্নাহারা ফাইযা হুম মুযলিমূন। ওয়াশামসু তাজরী লিমুসতাক্বারিল্লাহা, যা-লিকা তাক্বদীরুল ‘আযীযিল 'আলীম। ৩৮। ওয়াল কামারা ক্বাদ্দারনাহু মানাযিলা হাত্তা ‘আদা কাল 'উরজুনিল ক্বাদীম । ৩৯। লাশ্শামসু ইয়াম্ববাগী লাহা আন তুদূরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলু সাবিকুন্নাহারি ওয়া কুলুন ফী ফালাকিহঁ ইয়াসবাহূন। ৪০। ওয়া আইয়াতুঁল্লাহুম আন্না হামালনা যুররিইয়্যাতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন ।  islamic history,
 
 ৪২। ওয়া খালাক্বনা লাহুম মিম্ মিছলিহি মা ইয়ারকাবৃন। ৪৩। ওয়া ইন নাশা' নুম্বরিহুম ফালা ছারীখা লাহুম ওয়ালাহুম ইউনক্কায়ুন। ৪৪ । ইল্লা রাহমাতাম মিন্না ওয়া মাতা আন ইলা হীন। ৪৫। ওয়া ইযা কীলা লাহুমুত্তাকু মা বাইনা আইদীকুম ওয়ামা খালফাকুম লা'আল্লাকুম তুরহামূন । ৪৬। ওয়ামা তা’তীহিম মিন আ-ইয়াতিম মিন আ-ইয়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা কানূ ‘আনহা মু‘রিদ্বীন। ৪৭। ওয়া ইযা কীলা লাহুম আনফিকু মিম্মা রাযাক্বা কুমুল্লাহু, কালাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানূ আনুত্ব'য়িমু মাল্লাও ইয়াশা-উল্লা আত্বআ’মাহু ইন আনতুম ইল্লা ফি দ্বালালিম মুবীন। 
 
 ৪৮। ওয়া ইয়া কুলূনা মাতা হা-যাল ওয়া‘দু ইনকুনতুম ছাদিক্বীনা। ৪৯ ৷ মা ইয়ানযুরুনা ইল্লা ছাইহাতাওঁ ওয়াহিদাতান তা’খুযুহুম ওয়াহুম ইয়াখিচ্ছিমূন। ৫০। ফালা ইয়াসতাত্বী‘ঊনা তাওসিয়াতাওঁ ওয়ালা ইলা আপিহিম ইয়ারজিউন। ৫১। ওয়া নুमিখা কিছুরি ফাইবাহুন মিনাপ আজদাছি ইলা রাব্বিহিম ইয়াসিন। ৫২। কালু ইয়া ওয়াইলানা নান বা'আছানা নিম্ন মারক্বাদিনা হা-যা না ওরা আদার রাহমানু ওয়া ছাদাক্বাল মুরসালুন। 
 
 ৫৩। ইন কা-নাত ইল্লা ছাইহাতাওঁ ওয়াহিদাতান কা-ইয়াহুম জামীউল্লাদাইনা মুদ্বারন। ৫৪। কালইয়াওমা লা তুলামু নাফসুন শাইআওঁ ওয়ালা তুজরানা ইল্লা না কুনতুম তা'মালুন। ৫৫। ইন্না আছহাবাল জান্নাতিল ইয়াওমা কী গুপিন -কन। ৫। হুন ওয়াআওয়াজুহুম কী যিলালিন 'আলাল আরাইকি মুত্তাকিউন। ৫৭। পাহুন ফীহা ফাকিহাভু ওয়া লাহুন না ইয়াদ্দা'উন। ৫৮। সালামুন কাওলান মির রাব্বির রাহীম। ৫৯। ওয়ামতাবুল ইয়াওনা আইয়্যুহাল মুজুরিন। ৬০। আলাম আহাদ ইলাইকুম ইয়া বানী আদামা আল্লা তাবুদুশ শাইত্বানা ইন্নাহু লাকুম 'আদুওয়্যুম মুবীন। 
 
 ৬১। ওরা আনি বুদুনী হা-যা ছিরাতুম মুসতাদীন। ৬২। ওয়া লাবাদ আদ্বাল্লা মিনকুম জ্বিবিপ্লান কাছীরান, আকালাম তাকুন তা'লুিন। ৬৩। হা-যিহি জাহান্নামূল্লাতী কুনতুম তু'আদুন ৬৪। ইছলাও হাল ইয়াওমা বিমা কুনতুম তাকফুরূন। ৬৫। আল ইয়াওনা নাখতিমু 'আলা আকওয়াহিহিম ওয়া তুকাল্লিমুনা আইদীহিমু ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুন বিমা কানু ইয়াকসিন। ৬৬। ওয়ালাও নাশা উ পাত্তানাসনা 'আলা আ'ইউনিহিম ফাতাবাকুছ ছিরাত্বা কাআন্না ইউবছিরুন। 
 
 ৬৭। ওয়ালাও নাশা-উ লামাসাখনা হুম্ 'আলা মাকানাতিহিম কামাস্ তাত্ত্বার্ড মুধিয়াওঁ ওয়ালা ইয়ারজিউন। ৬৮। ওয়ামান নৃ' আখিরহু নুনাকৃকিসহ কিল খালকি আকালা ইয়া কিলন। ৬৯। ওয়ামা 'আল্লামনাইশ শি'রা ওয়ামা ইয়ানবাগী লাহু ইনহুয়া ইল্লা যিকরুও - ওয়া কুরআনুম মুবীন। ৭০। লিইউনযিরা মান কা-না হাইয়্যাওঁ ওয়া ইয়াচিকুহাল ক্বাওলু 'আলাল কাফিরীন। ৭১। আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না বালাকুনা লাহুন মিথা 'আমিলাত আইদীনা আন 'আমান ফাহুম লাহা মালিকুন। 
 
 ৭২। ওরা বাপ্পাল না-হা, লাহুম কামিনহা রাক্কুবুহুম ওয়া মিনহা ইয়া কুলুন। ৭৩। ওয়া লাহুম ফীহা মানাফি'উ ওয়া মাশারিবু আফালা ইয়াকূরুন। ৭৪। ওয়াত্তাখায় মিন দুনিল্লাহি আ-লিহাতীরা 'আল্লাহুম ইউনছারূন। ৭৫। লা ইয়াসতাত্রী ঊনা নাছরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদ্বারুন। ৭৬। ফালা ইয়াহয়ূনকা কাওলুহুম। ইন্না না'লামু মা ইউসিরূনা ওয়ামা ইউ'লিন। ৭৭। আওয়ালাম ইয়ারাল ইনসানু আন্না খালাক্বনা-হু মিন নুত্বফাতিন ফাইযা হুয়া খাছীমুম মুবীন। 
 
 ৭৮। ওয়া দ্বারাবা লানা মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহু কালা মাইইউয়িল 'ইযামা ওয়াহিয়া রামীম। ৭৯। কুল ইউয়ীহাল্লাযী আনশাআহা আউয়্যালা মারাতিন ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন 'আলীম, ৮০। নিল্লাযী জা'আলা লাকুম মিনাশ্ শাজারিল আখদ্বারি নারান ফাইয়া আনতুম মিনহু তুর্কিদুন। ৮১। আওয়া লাইছাল্লাযী খালাক্বাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা বিকাদিরিন 'আলা আঁইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা ওয়াহুয়ান খান্নাকুল 'আলীম। ৮২। ইন্নামা আমরুহু ইযা আরাদা শাইআন আইয়াকু লালাহু কুন ফাইয়াকুন। ৮৩। ফাসুবহানাল্লাযী বিইয়াদিহি মালাকুতু কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুরজাউন ।
  

বাংলা অর্থ

(১) ইয়া-ছীন। (২) জ্ঞানগর্ভ কোরআনের কসম-(৩) তুমি অবশ্যই প্রেরিতদের অন্তর্গত- (৪) সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (৫) পরাক্রান্ত, দয়ালু থেকে কোরআন অবতীর্ণ-(৬) সতর্ক করতে এমন এক কওমকে যাদের পিতৃ-পুরুষদের সাবধান করা হয় নাই, ছিল তারা অসতর্ক। (৭) ওদের অধিকাংশের শাস্তি নিশ্চিত, ওরা ঈমান নিবে না। (৮) ওদের গলদেশে বেড়ি পরিয়েছি চিবুক অবধি, ফলে ওরা হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। (৯) আমি ওদের সামনে ও পিছনে অন্তরাল সৃষ্টি করেছি, করেছি আবরণ ওদের দৃষ্টি পথে, ফলে ওরা দেখতে পায় না। 

(১০) তুমি ওদের সতর্ক কর কিংবা না কর একই কথা, ওরা ঈমান আনবে না। (১১) উপদেশ মান্যকারীদিগে তুমি কেবল সতর্ক করতে পার, আর পার অদৃশ্যে রহমান ভীতুদিগে, সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা ও পরম পুরস্কারের সুসংবাদ দাও। (১২) মৃতকে আমিই করি জীবিত এবং লিপিবদ্ধ করি ওদের কৃতকর্ম যা পিছনে রেখে যায় ; প্রতিটি জিনিস আমি স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করি। (১৩) ওদের কাছে তুমি এক বস্তির উপমা তুলে ধর। যাদের কাছে এসেছিল রাসূল। (১৪) ওদের কাছে পাঠিয়েছিলাম দুইজন রাসূল, তাদের ওরা মিথ্যুক বলিল, তখন তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজন দ্বারা, তারা বলল : 'আমরা তোমাদের কাছে প্রেরিত ।

(১৫) ওরা বলল, 'তোমরা তো আমাদের মত মানুষ-রহমান কিছুই নাজিল করেন নাই, তোমরা বলছ শুধু মিথ্যা।' (১৬) তারা বলল, 'আমরা তোমাদের কাছে প্রেরিত আমাদের রবের কসম!' (১৭) স্পষ্ট প্রচার করাই আমাদের কর্ম।' (১৮) ওরা বলল, আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ ভাবি, বিরত না হলে অবশ্যই প্রস্তরাঘাত করব, দিব মর্মস্তুদ শাস্তি। (১৯) তারা বলল, 'তোমাদের অমঙ্গল তোমাদের; এজন্য তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা সীমালংঘনকারী কওম।' 

(২০) নগরীর প্রাপ্ত হতে একজন লোক ছুটে এসে বলল, ‘হে আমার কওম! রাসূলদিগের অনুসরণ কর, (২১) অনুকরণ কর তাদের যারা চায় না প্রতিদান, তারা সৎপথের পথিক। (২২) আমার সৃষ্টিকর্তা যাঁর কাছে প্রত্যাবর্তিত হব, কেন তাঁর ইবাদাত করব না? (২৩) তাঁকে ব্যতীত আমি অন্য মাবুদ গ্রহণ করব? রহমান আমার অনিষ্ট করতে চাইলে ওদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না, পারবে না তাড়াতেও। ইসলামিক কাহিনী।

(২৪) এ প্রকার করলে অবশ্যই পড়ব স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে। (২৫) তোমাদিগের রবের আমি বিশ্বাসী, তাই আমার কথা শোন।' (২৬) বলা হল : প্রবেশ কর জান্নাতে; সে বলল, হায় আমার কওম যদি জানত- (২৭) কী হেতু আমার রব্ আমার ক্ষমা করলেন, করলেন সম্মানিত। (২৮) তার মৃত্যুর পরে তার কওমের পরে আকাশ হতে কোন সৈন্য প্রেরণ করি নাই- ছিল না এর প্রয়োজনও। (২৯) তা ছিল শুধু এক ভীষণ শব্দ, অতঃপর তারা নির্বাপিত হয়ে রইল। (৩০) বান্দাগণের প্রতি আক্ষেপ!

ওদের নিকট কোন রাসূল আসলেই তারা তাকে ঠাট্টা করত। (৩১) ওরা কি লক্ষ্য করে নাই ওদের পূর্ববর্তী কওম মানব গোষ্ঠীকে বিনাশ করেছি যারা ওদের মাঝে ফিরবে না। (৩২) অবশ্যই ওদের সকলকে একত্রিত আমার কাছে উপস্থিত করা হবে। (৩৩) ওদের জন্য একটি নিদর্শন- মৃতভূমি, আমি তাকে সজীব করেছি ও তা হতে শস্য উৎপন্ন করেছি ; অতঃপর ওরা তা হতে ভক্ষণ করে। 

(৩৪) এবং তথায় আমি খেজুর ও আঙ্গুরের উদ্যান রচনা করেছি এবং তন্মধ্যে পানির স্রোত প্রবাহিত করেছি, (৩৫) যাতে তারা ফল ভক্ষণ করতে পারে, যা ওদের হাতে তৈরি নয়; তথাপি ওরা কৃতজ্ঞ হবে না? (৩৬) তিনি পবিত্র, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং ওরা যা জানে না সে সবের প্রতিটি সৃষ্টি করিয়াছেন জোড়া জোড়া। (৩৭) ওদের জন্য এক নিদর্শন-রাত্রি, তা হতে আমি দিবালোক দূর করি, ফলে ওরা অন্ধকারাচ্ছন্নে পড়ে। (৩৮) এবং সূর্য তার অবস্থিতি স্থানে চলছে ; এট পরাক্রান্ত সর্বজ্ঞ কর্তৃক নির্ধারিত। 

(৩৯) এবং চন্দ্রের জন্য বিভিন্ন স্থান নির্ধারণ করেছি, এমনকি সে জীর্ণ খেজুর শাখার ন্যায় পরিণত হয়। (৪০) চন্দ্রকে ধরতে পারে না সূর্য, এবং রাত্রিও দিবসের অগ্রগামী নয় এবং প্রত্যেকেই কক্ষ পথে সন্তরণ করছে। (৪১) ওদের এটাও এক নিদর্শন-ওদের পিতৃ-পুরুষদেরে চড়িয়েছিলাম বোঝাই নৌকায়, (৪২) ওদের জন্য এরূপ যান সৃষ্টি করেছি, যাতে আরোহণ করে। (৪৩) ইচ্ছা করলে তা পারি নিমজ্জিত করতে, তখন ওরা কোন সাহায্যকারী পাবে না, পরিত্রাণও না, (৪৪) ওদের প্রতি আমার অনুগ্রহ কিছু দিন উপভোগ করতে না দিলে । 

(৪৫) বলা হলঃ পার্থিব-অপার্থিব শাস্তিকে ভয় কর, অনুগ্রহিত হবে, ওরা অগ্রাহ্য করে। (৪৬) ওদের কাছে প্রভুর কোন নিদর্শন আসলে, তা হতে হয় ওরা বিমুখ। (৪৭) ওদেরকে বলা হলে-‘আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিজেক দিয়েছেন, তা হতে ব্যয় কর’ কাফেররা তখন মোমেনদের বলেঃ 'যাকে ইচ্ছা করলে আল্লাহ খাওয়াতে পারতেন তাকে আমরা খাওয়াব কেন?' তোমরা তো প্রকাশ্য ভ্রান্ত পথে আছ। (৪৮) ওরা বলে, সত্যবাদী হলে বল, কবে এ অঙ্গীকার পূর্ণ হবে? 

(৪৯) ওরা অপেক্ষায় আছে এক ভীষণ গর্জনের, যা ওদেরকে আঘাত করবে ওদের বিতর্ককালে। (৫০) অছিয়ত করতেও অবকাশ পাবে না, ফিরে যেতে পারবে না পরিবারের কাছে। (৫১) শিংগায় ফুৎকার দেয়া হলে মানুষ গোর হতে ছুটে আসবে - তাদের রবের কাছে। (৫২) ওরা বলবে, হায় দুঃখকে আমাদেরকে শয়নগাহ হতে উঠাল ? islamic history,

এটা রহমানের অঙ্গীকার ও রাসূলেরা সত্য বলত। (৫৩) তা কেবল মাত্র এক ভীষণ শব্দ, অতঃপর ওদের সকলকে আমার সমীপে উপস্থিত করা হবে। (৫৪) যেদিন কারো প্রতি কিছু মাত্র অবিচার করা হবে না, যা তোমরা করেছিলে, তারই প্রতিফল দেয়া হবে। (৫৫) বেহেশতবাসীগণ সেদিন সুখকর কার্যে আনন্দিত হবে। (৫৬) তারা ও তাদের স্ত্রীগণ বৃক্ষের ছায়াতলে উন্নত পালংকে অর্ধশায়িত উপবিষ্ট থাকবে। (৫৭) তথায় তাদের জন্য ফল-মূল ও যা চাইবে তা থাকবে। 

(৫৮) ‘সালাম' করুণাময় রব্বের তরফ হতে বলা হবে। (৫৯) বলা হবে, পাপীরা! আজ পৃথক হয়ে যাও। (৬০) হে বনী আদম! তোমাদেরকে নির্দেশ দেই নাই, তোমরা শয়তানের উপাসনা করবে না, কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন। (৬১) কর তোমরা আমারই ইবাদত; এটাই সরল পথ। (৬২) সে তো তোমাদের পূর্বের বহু লোককে পথভ্রষ্ট করেছিল; তোমরা তবু বুঝবে না? (৬৩) এটাই তোমাদের অঙ্গীকৃত সে জাহান্নাম। (৬৪) আজ এতে প্রবেশ কর, কারণ এতে তোমরা অবিশ্বাস করতে। 

(৬৫) আজ ওদের মুখ মোহর করে দিব, ওদের হাত আমার সাথে কথা কইবে ও চরণ সাক্ষ্য দিবে ওদের কৃতকর্মে! (৬৬) ইচ্ছা করলে আমি ওদের দৃষ্টিশক্তি রহিত করে দিতে পারিতাম, তখন ওরা পথ চলতে চাইলে কেমনে চলিত! (৬৭) ইচ্ছা করলে আমি স্বস্থানে স্থির করে দিতাম, ফলে ওদের আগে-পিছে চলার সামর্থ্য থাকত না। (৬৮) যাকে আমি দীর্ঘজীবি করি, তাকে তো করে দেই জরাগ্রস্ত ; তবু ওরা বোঝে না? 

(৬৯) রাসূলকে কবিতা শিখাই নাই এবং তার জন্য শোভনীয় নয় ; এটা শুধু এক উপদেশ ও স্পষ্ট কোরআন- (৭০) যাতে সে জাগ্রতচিত্ত ব্যক্তিগণকে ভয় প্রদর্শন করে কাফেরদের বিরুদ্ধে শাস্তি বাক্য সত্য হয়। (৭১) ওরা কি দেখে না, ওদের জন্য আমি নিজে সৃষ্টি করেছি চতুষ্পদ জন্তু এবং ওরা সে সবের মালিক? (৭২) ওগুলোকে ওদের অধীন করে দিয়েছি, কতক বাহন, কতক খাদ্য। (৭৩) ওগুলোতে ওদের জন্য আছে উপকারিতা ও পানীয় বস্তু, তবু কৃতজ্ঞ হবে না ? 

(৭৪) ওরা তো আল্লাহ ছাড়া অন্য মাবুদ ধরেছে, কারণ সাহায্য প্রাপ্ত হবে। (৭৫) ওরা ক্ষমতা রাখে না ওদের সাহায্য করার বরং সদলবলে জাহান্নামে হাজির করা হবে। (৭৬) তাই ওদের কথায় যেন মনঃকষ্ট না পাও। জানি যা ওরা গোপন ও প্রকাশ করে। (৭৭) মানুষ কি দেখে না, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু হতে অথচ সে পরে সাজে প্রকাশ্য বিতর্ককারী। (৭৮) মানুষ আমার সম্পর্কে অদ্ভুত কথা বলে এবং ভুলে যায়, আমার সৃষ্টির কথা আর বলে, পচিলে অস্থিতে প্রাণ দিবে কে? 

(৭৯) বল, যিনি প্রথমবার সৃজন করেছেন, তিনিই এতে প্রাণ দিবেন ; তিনি সমস্ত সৃষ্টি সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত। (৮০) যিনি তোমাদের জন্য সবুজ বৃক্ষ হতে অগ্নি তৈরি করেন, পরে তোমরা তা হতে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর। (৮১) যিনি আকাশ-পৃথিবীকে সৃজন করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হাঁ, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ স্রষ্টা ও সর্বজ্ঞ। (৮২) বস্তুত, তাঁর আদেশ-কোন কিছু ইচ্ছা করলে বলা হয়, 'হও' অতঃপর তা হয়ে যায়। (৮৩) তিনি পবিত্র, যাঁর সার্বভৌম ক্ষমতা সকল বস্তুর পরে এবং তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে ।


Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন !