দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 31

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 31

আক্বীকার বিবরণ

সন্তান জন্ম নেয়ার সাথে সাথে তার ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামাত বলবে। হাদীস শরীফে আছে যে, এরূপ করলে সন্তান শিশুরোগ হতে নিরাপদ থাকবে। সন্তানের ভালো নাম রাখবে। হাদীস শরীফে আছে—আব্দুল্লাহ, আবদুর রহমান এবং এরূপ ইসলামী ভাবধারার নামসমূহ আল্লাহ্র নিকট সর্বোৎকৃষ্ট। গর্ভপাত করার সময় মৃত সন্তানেরও নাম রাখা সুন্নত। সন্তানের 'আকীকাহ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্ । (আমাদের হানাফী মাযহাব মতে সুন্নতে যায়েদাহ।) ইসলামিক কাহিনী। 

কন্যা সন্তানের জন্য একটি এবং পুত্র সন্তানের জন্য দু'টি ছাগল জবেহ করে 'আক্বীকা করা উচিত। দুটি না থাকলে একটি করলেও চলবে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, 'আক্বীকার ছাগলের হাড় ভাঙ্গা উচিত নয়। সন্তান ভূমিষ্ট হবার পর তার মুখে কোন মিষ্টি দ্রব্য দেয়া এবং সপ্তমদিনে তার মাথার চুল কাটায়ে সে চুলের সমান ওজনে স্বর্ণ বা রৌপ্যের ছদকা করা সুন্নত।

সন্তান জন্মের পর উত্তম কাজ হল, সপ্তম দিনে তার নাম রাখবে এবং আক্বীকা করবে। এতে সন্তানের বালা-মুসীবত কেটে যায় এবং সে যাবতীয় বিপদ-আপদ হতে নিরাপদে থাকে ।

‘আক্কীকাহ্ করার নিয়ম হল, সন্তান ছেলে হলে দুটি বকরী বা ভেঁড়া, আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা ভেঁড়া জবেহ করবে। কিংবা কুরবানীর গরুর মধ্যে ছেলের জন্য দুঅংশ এবং মেয়ের জন্য এক অংশ দেবে। আর সন্তানের মাথার চুল মুণ্ডিয়ে ঐ চুল পরিমাণ স্বর্ণ বা রৌপ্য খয়রাত করবে। মনে চাইলে সন্তানের মাথায় জাফরান লাগিয়ে দেবে।

সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আকীকা করা মুস্তাহাব। সপ্তম দিনে না পারলে জীবনের যে কোন সময়েই ইচ্ছা করুক না কেন, যে বারে সন্তান হয়েছে তার আগের দিন করবে। যেমন-কোন সন্তান শুক্রবারে জন্মগ্রহণ করেছে, বৃহস্পতিবার সপ্তম দিন পড়বে। বৃহস্পতিবার জন্মগ্রহণ করলে বুধবার দিন 'আক্বীকা করবে।

সন্তান জন্মের সপ্তমদিন চারটি কাজ করা উত্তম। যথা—১। সন্তানের ভালো নাম রাখা ২। মাথা মুণ্ডন করা। ৩। চুলের ওজনে স্বর্ণ-রৌপ্য দান করা। ৪। 'আক্বীকার জন্তু জবেহ করা। এসবের কোনটি আগে কোনটি পরে হওয়ার মধ্যে কোনরূপ বাধ্যবাধকতা নেই। মাথা মুণ্ডানোর জন্য খুর মাথায় রাখার সাথে সাথে ‘আকীকার জন্তু জবেহ করা একটি নিরর্থক প্রচলন।

আকীকার গোশত কাঁচা ভাগ করে দেয়া কিংবা রান্না করে ভাগ করে। আকীকার গোশত সন্তানের মা-বাবাও খেতে পারবে। "আকাকার জন্য জবেহকৃত পশুর একটি রান ধাত্রীকে, মাথা মুসলমান নাপিতকে এবং । তিন ভাগের এক ভাগ ফকির-মিসকীনকে দান করা ভালো।
দেয়া বা দাওয়াত করে খাওয়ান সবই জায়েয।
গোশতের তদ্রূপ চামড়াও তাদেরকে দান করে দেয়া উত্তম।

আক্বীকার দোয়া

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাযিহী ‘আক্বীক্বাতুবনী ফুলানিন দামুহা বিদামিহী ওয়া লাহুমুহা বিলামিহী ওয়া‘আযমুহা বি‘আযমিহী ওয়া জিলদুহা বিজিলদিহী ওয়া শা'অরুহা বিশা'রিহী আল্লাহুম্মাজ ‘আলহা ফিদাত্মন লিইবনী মিনান্নারি বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ।

অর্থ : হে আল্লাহ্! আমার অমুক পুত্রের এ ‘আক্বীকা। এর রক্ত তার রক্তের বদলে এবং এর গোশ্ত তার গোশতের বদলে এবং এর হাড়সমূহ তার হাঁড়ের বদলে এবং এর চামড়া তার চামড়ার বদলে, এর চুল তার চুলের পরিবর্তে। হে আল্লাহ! এ ‘আক্বীকাকে তুমি আমার পুত্র-কন্যার দোযখের অগ্নি হতে মুক্তির জন্য উছিলা কর ।islamic history,

প্রকাশ থাকে যে, নিজের পুত্র সন্তানের ‘আক্বীকার জন্তু নিজে জবেহ করলে “ফুলান” এর স্থলে ছেলের নাম বলবে। আর কন্যা সন্তান হলে “ইবনী” এর স্থলে “ইবনাতী” বলবে এবং “ফুলানিন” এর স্থলে নিজের
নাম উল্লেখ করবে।

আর যদি অন্যের 'আক্বীকা হয়, তাহলে যদি সন্তান ছেলে হয়, তবে "ইবনুহু” বলে তার নাম উল্লেখ করবে এবং কন্যা সন্তান হলে “ইবনাতুহু
বলে তাদের পিতার নাম উল্লেখ করবে।

Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন !