দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 23

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 23

কবর যিয়ারতের অনুমতি

হযরত সুলাইমান ইবনে বুরাইদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে বারণ করেছিলাম। মুহাম্মদ (স)-কে তাঁর মায়ের কবর যিয়ারতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা কবর যিয়ারত করতে পার । কেননা তা পরকালের কথা মনে করিয়ে দেয়-(মু) ।

মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করতে যাওয়া মাকরূহ

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রাসুলে পাক (স) কবর যিয়ারতকারী মহিলাদের ভর্ৎসনা করেছেন ।

স্ত্রীলোকদের জন্য কবর যিয়ারত করা (বৈধ)

হযরত আবুদুল্লাহ্ ইবনে আবু মুলাইকা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবনে আবু বাকর (রা) (মক্কার নিকটবর্তী) আল-হুবশী নামক স্থানে ইন্তিকাল করেন। পরে তাকে মক্কা শরীফে এনে কবর দেয়া হল । আয়শা (রা) মক্কা শরীফে এসে (ভাই) হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবু বাকরের (রাঃ) কবর যিয়ারতে গেলেন। 

তিনি কবরের কাছে দাঁড়িয়ে নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করেন :
“আমরা দু'জন জাযীমার দুই সহচর
অনেকদিন কাঠিয়েছি একসাথে
এমনকি বলা হত আমরা কখনো মালিকের হব না
কিন্তু যখন আলাদা হলাম আমি মালিকের থেকে
মনে হচ্ছে এক রাতও যাপন করিনি একসাথে।”

অতঃপর তিনি বলেন, আল্লাহ্র শপথ! আমি যদি উপস্থিত থাকতাম তবে আপনার মৃত্যুর স্থানেই আপনাকে কবর দেয়া হত। আমি যদি আপনার দাফনের সময় উপস্থিত থাকতাম, তবে আমি আপনার যিয়ারতে আসতাম না ।

রাতে লাশ দাফন করা

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী পাক (স) রাতের বেলা একটি গোরস্তানে ঢুকলেন। তার জন্য একটি বাতি জ্বালানো হল। তিনি কিবলার দিক থেকে পাশ ধরলেন এবং বললেন : ान আ তোমায় দয়া করুন। তুমি ছিলে বেশি কোমল প্রাগ এবং বেশি কুরআান তিলাওয়াতকারী। তিনি তার (নামাযে) চারবার 'আল্লাহু আকবার'
বললেন।

মৃতের প্রশংসা করা

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রাসুলে পাক (সা)-এর সামনে দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লোকজন তার প্রশংসা করল। রাসূলে পাক (স) বললেন তার জন্য (বেহেশত) নির্ধারিত হয়ে গেল। তিনি পুনরায় বললেনঃ তোমরা (মুমিনরা) দুনিয়াতে আল্লাহর সাক্ষী। হযরত আবুল আসওয়াদ আদ-দীলী (রা) থেকে বর্ণিত। 

তিনি বলেন, আমি মদীনায় আসলাম এবং হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-র কাছে গিয়ে বসলাম। (আমাদের সামনে দিয়ে) লোকেরা একটি লাশ নিয়ে যাচ্ছিল। তারা তার গুণের প্রশংসা করছিল। হযরত উমার (রা) বললেন, নির্ধারিত হয়ে গেল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি নির্ধারিত হয়ে গেল? 

তিনি বললেন, আমি তাই বলেছি যা হযরত রাসুলে পাক (স) বলেছেন। তিনি বলেন ঃ কোন মুসলমানের পক্ষে তিনজন লোকও ভালো সাক্ষী দিলে তার জন্য বেহেশতে নির্ধারিত হয়ে যায়। হযরত উমার (রা) বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, যদি দুইজনে এরূপ সাক্ষী দেয়। তিনি বলেন : দুইজনে দিলেও। হযরত উমার (রা) বলেন, অতঃপর আমরা একজনের সাক্ষ্যের কথা জিজ্ঞেস করিনি।

যার শিশু সন্তান মারা যায় তার সওয়াব

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রাসুলে পাক (স) ইরশাদ করেন : কোন মুসলমানের তিনটি শিশু সন্তান মারা গেলে তাকে দোযখের আগুন স্পর্শ করবে না; শুধু শপথ পূর্ণ করার জন্য । হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (স) ইরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি তিনটি নাবালেগ সন্তান (আল্লাহ্র কাছে) পাঠিয়েছে, তারা তার জন্য (দোযখের বিরুদ্ধে) সুরক্ষিত দুর্গ হবে। 

হযরত আবু যার (রা) বললেন, আমি দু'টি সন্তান আগে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন : দু'টি পাঠালেও। কুরআন বিশেষজ্ঞদের নেতা হযরত উবাই ইবনে কাব (রা) বললেন, আমি একটি আগে পাঠিয়েছি? তিনি বলেন : একটি পাঠালেও। কিন্তু এটা শুধু তার জন্য যে প্রথম আমাতেই ধৈর্য ধরেছে।

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল পাক (স)-কে বলতে শুনেছেন : আমার উম্মাতের মধ্যে যার দু'টি মৃত সন্তান থাকবে তাদের বিনিময়ে মহান আল্লাহ্ তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন। (1) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার উম্মাতের মধ্যে যার একটি মত সন্তান থাকবে? 

তিনি বলেন : হে কল্যাণকামিনী। যার এরূপ একটি সন্তান থাকবে তাকেও। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, আপনার উম্মাতের মধ্যে যার কোন অগ্রগামী সন্তান নেই? তিনি বলেন : আমিই আমার উম্মাতের জন্য অগ্রগামী। কেননা আমার মরণে তারা যে দুঃখ পাবে তেমন আর কারো মরণে পাবে না।

শাহাদাত প্রাপ্তদের বর্ণনা

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (ন) ইরশাদ করেন : শহীদ পাঁচ প্রকারের : যে মহামারীতে মারা যায়, যে পেটের অসুখে মারা যায়, যে পানিতে ডুবে মারা যায়, যে চাপা পড়ে মারা যায় এবং যে মহান আল্লাহর রাস্তায় (যুদ্ধক্ষেত্রে) শহীদ হয়।

হযরত আবু ইসহাক আস-নাবীঈ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন সুলাইমান ইবনে সুরান (রা) খালিদ ইবনে উরফুতা (রা)-কে অথবা বালি (রা) সুলাইমান (র)-কে জিজ্ঞেসা করলেন, আপন কি রাসূলে পাক (স-কে একথা বলতে শুনেছেন “পেটের পীড়া যাকে হত্যা করেছে তাকে কবরে আবার দেখা হবে না? তাদের একজন অপরজনকে বললেন, হাঁ।

মহামারী আক্রান্ত এলাকা থেকে পলায়ন করা যাবেনা

হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী পাক (স) মহামারীর কথা আলোচনা করলেন এবং বললেন : বনী ইসরাঈলের এক গোষ্ঠীর উপর যে গযব বা শাস্তি পাঠানো হয়েছিল, মহামারী তারই বাকী অংশ। অতএব কোন এলাকায় মাহমারী দেখা দিলে এবং তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাকলে সেখান থেকে চলে যেয়ো না। অপরদিকে কোন এলাকায় প্রাদুর্ভাব হলে এবং তোমরা সেখানে অবস্থানরত না থাকলে সেখানে যেও না ।

হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী পাক (স) ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাতলাভের আশা পোষণ করে আল্লাহ্ও তার সাক্ষাত লাভ পছন্দ করেন। যে বক্তি আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাতলাভের আকাংখা করে না আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতলাভ পছন্দ করেন না, হযরত আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত। 

তিনি বলেন, রাসূলে পাক (স) ইরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাতলাভ পছন্দ করে মহান আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতলাভ পছন্দ করেন। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ্র সাক্ষাতলাভ পছন্দ করে না, মহান আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতলাভ পছন্দ করেন না। হযরত আয়শা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সবাই তো মৃত্যুকে অপছন্দ করি। 

তিনি বলেন : এর অর্থ তা নয়, বরং মুমিন ব্যক্তিকে যখন আল্লাহ্র রহমাত, তাঁর সন্তোষ ও তাঁর বেহেশতের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন সে আল্লাহ্র আল্লাহ্র সাক্ষাত লাভের আকাংখা করে এবং আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতলাভ পছন্দ করেন। অপরপক্ষে কাফের ব্যক্তিকে যখন আল্লাহ্ নির্ধারিত শাস্তি ও তাঁর গযবের দুঃসংবাদ দেয়া হয় তখন সে আল্লাহ্ সাক্ষাতলাভ মোটেই পছন্দ করে না এবং আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতলাভ পছন্দ করেন না

আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়া যাবে না

হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আত্মাহত্যা করলে হুযূর পাক (স) তার জানাযা পড়েননি ।

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা

হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী পাক (স)-এর নিকট এক ব্যক্তির লাশ জানাযা পড়ার জন্য নিয়ে আসা হল। নবী পাক (স) বলেন : তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযা পড়; কেননা তার অপরিশোধিত ঋণ আছে। হযরত আবু কাতাদা (রা) বললেন, তার দেনা আদায় করবে তো? তিনি বললেন, অবশ্যই আদায় করব । অতঃপর তিনি তার জানাযা পড়েন ।

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (স)-এর নিকট ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির লাশ আনা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, এ ব্যক্তি তার ঋণ আদায়ের মত কিছু রেখে গেছে কি? যদি বলা হত, ঋণ আদায়ের জন্য সে কিছু রেখে গেছে তবে তিনি তার জানাযা পড়তেন। অন্যথায় তিনি মুসলমানদের বলতেন : তোমরা তোমাদের ভাইদের জানাযা পড়। 

অতঃপর মহান আল্লাহ্ তাঁকে অসংখ্য বিজয় দান করলে তিনি দাঁড়িয়ে বলেন : আমি মুমিনদের জন্য তাদের নিজেদের চেয়েও বেশি কল্যাণকামী । অতএব মুমিনদের মধ্যে কেউ ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলে তা আদায়ের দায়িত্ব আমার। আর কেউ ধন-সম্পদ রেখে মারা গেলে তা তার উত্তরাধিকাদের প্রাপ্য ।

কবর আযাব সম্পর্কে

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (স) ইরশাদ করেছেন : যখন মৃত ব্যক্তিকে বা তোমাদের কাউকে কবরে রাখা হয় তখন তার নিকট কালো বর্ণের এবং নীল চোখ বিশিষ্ট দু'জন ফেরেশতা আসেন। তাদের একজনকে বলা হয় মুনকার এবং অপরজনেক বলা হয় নাকীর। তারা উভয়ে (মৃতকে) জিজ্ঞেস করেন : এ ব্যক্তি . (মুহাম্মাদ (স) সম্পর্কে তুমি কি বলতে? 

মৃত ব্যক্তি মুমিন হলে পূর্বে যা বলত তাই বলবে ঃ তিনি মহান আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মাবূদ নাই এবং মুহাম্মাদ (স) তাঁর বান্দা ও রাসূল। তখন তারা উভয়ে বলেন, আমরা জানতাম যে, তুমি একথাই বলবে। অতঃপর তার কবর দৈঘ্য-প্রস্থে সত্তর গজ প্রশস্ত করে দেয়া হয় এবং এখানে তার জন্য আলোর ব্যবস্থা করা হয়। অতঃপর তাকে বলা হয়, তুমি ঘুমিয়ে থাক। 

তখন সে বলবে, আমি আমার পরিবার -পরজনের নিকট ফিরে যেতে চাই তাদেরকে সুসংবাদ দিতে। তারা উভয়ে বললেন, তুমি এখানে বাসর ঘরের দুলার মত এমন গভীর ঘুম যাবে, যাকে তার পরিবারের সর্বাধিক প্রিয়জন ছাড়া আর কেউ জাগাতে পারে না। অবশেষে কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ্ তার বিছানা থেকে তাকে তুলবেন। মৃত ব্যক্তি মুনাফিক হলে (প্রশ্নের উত্তরে) বলবে, লোকেরা তাঁর সম্পর্কে একটা কথা বলত আমিও তাই বলতাম। 

আমি এর বেশি কিছুই জানি না। তখন ফেরেশতাদ্বয় বলবেন, আমরা জানতাম যে, তুমি এ কথা বলবে। অতঃপর জমীনকে বলা হবে, একে চাপ দাও। জমীন তাকে এমন শক্তভাবে চাপ দিবে যে, তার পাঁজরের হাড়সমূহ পরস্পরের মধ্যে ঢুকে যাবে। (কিয়ামতের দিন) মহান আল্লাহ তাকে তার এ বিছানা থেকে তোলার পূর্ব পর্যন্ত সে এখানেই শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।

হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলে পাক (স) ইরশাদ করেছেন : কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার সামনে তার (আখেরাতের) বাসস্থান তুলে ধরা হয়। সে বেহেশতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হলে তাকে বেহেশতীদের জায়গা দেখানো হয়। আর সে দোযখীদের অন্তর্ভুক্ত হলে তাকে দোযখীদের জায়গা দেখানো হয়। অতঃপর বলা হয়, এটা তোমার বাসস্থান। আল্লাহ্ তোমাকে কিয়ামতের দিন (এখানে পাঠাবেন)।

যে ব্যক্তি জুমুআর দিন মারা যায়

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (স) ইরশাদ করেছেন : কোন মুসলমান জুমুআর দিন অথবা জুমুআর রাতে মারা গেলে মহান আল্লাহ্ তাকে কবরের বিপদ থেকে হেফাজত করেন।

তাড়াতাড়ি জানাযার ব্যবস্থা করা

হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলে পাক (স) তাকে বলেন : হে আলী! তিনটি কাজে বিলম্ব করবে না । নামায-যখন ওয়াক্ত হয়ে যায়, জানাযা যখন উপস্থিত হয় এবং বিধবা-যখন তার উপযুক্ত পাত্র পাওয়া যায় । islamic history.

বিপদগ্রস্তের প্রতি সহানুভুতি প্রদর্শন

হযরত আবু বারযা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলে পাকে (স) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি সন্তানহারা মহিলাকে শান্ত্বনা দেয় তাকে বেহেশতে একটি কারুকার্য খচিত চাদর পরিয়ে দেয়া হবে।

জানাযার নামাযে হস্তদ্বয় উত্তোলন (রফউল ইয়াদাইন)

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা) এক জানাযায় ‘আল্লাহ্ আকবার' বললেন এবং কেবল প্রথম তাকবীরেই হস্তদ্বয় উত্তোলন (রফউল ইয়াদাইন) করলেন। তিনি ডান হাত বাঁ হাতের উপর রাখলেন ।

নবী (স)-এর বাণী

ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত মুমিনের আত্মা দেনার সাথে বন্ধক থাকে ।
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (স) বলেছেন : ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত ঈমানদারের আত্মা ঋণের সাথে বন্ধক থাকে ।
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঋণ আদায় না করা পর্যন্ত ঈমানদারের আত্মা তার ঋণের সাথে বন্ধক থাকে।

Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন !