দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 20

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 20

জানাযার (লাশের) আগে আগে চলা

হযরত সালিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী পাক (সাঃ) হযরত আবু বাকর ও উমার (র)-কে জানাযার আগে আগে যেতে দেখেছি । হযরত সালিম ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি আমি নবী (স) আবু বাক্ ও উমার (রা)-কে জানাযার আগে আগে চলতে দেখেছি । islamic kahini,

হযরত যুী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী পাক (স) হযরত আবু বাক্ ও উমার (রা) জানাযার আগে আগে যেতেন। যুহরী বলেন, সালিম (রা) আমাকে অবগত করেছেন যে, তার পিতা ও জানাযার আগে আগে যেতেন।
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলে পাক (স) জানাযার আগে আগে চলতেন এবং হযরত আবু বাকর, ওমর ও উসমান (রা) ও ।

জানাযার পিছে পিছে যাওয়া

হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলে পাক (স)-কে জানাযার পিছে পিছে যাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম । তিনি বলেন : দৌড়ের চেয়ে কিছুটা আস্তে চলবে। যদি সে ভাল লোক হয়ে থাকে তবে তোমরা তাকে তাড়াতাড়ি তার স্থানে পৌঁছে দিলে। সে খারাপ লোক হয়ে থাকলে দ্রুত এক দোযখীকে বিদূরিত করা হল। লাশের অনুকরণ করা হয় । লাশ কারো অনুকরণ করে না। যে ব্যক্তি লাশের আগে আগে চলে সে এর সাথে নয় ।

সওয়ার হয়ে জানাযার পিছে পিছে চলা অপছন্দনীয়

হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি জানাযায় শামিল হওয়ার জন্য আমরা নবী পাক (স)-এর সাথে বের হলাম। তিনি কিছু লোককে আরোহী অবস্থায় দেখে বলেন : তোমাদের কি লজ্জা নেই? আল্লাহ্র ফেরেশতাগণ পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন আরা তোমরা পশুর পিছে সওয়াব হয়ে যাচ্ছে!

সওয়ার হয়ে জানাযায় যাওয়ার অনুমতি প্রসঙ্গে

হযরত সিমাক ইব্‌ন হারব (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা)-কে বলতে শুনেছি : আমরা নবী পাক (স)-এর সাথে ইবনুদ দাহ্দাহ-এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। রাসূলে পাক (স) তাঁর ঘোড়ার পিঠে সওয়ার ছিলেন এবং সেটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছিল। 

আমরা তাঁর চারপাশে ছিলাম এবং তিনি ঘোড়ার চলার তালে তালে দুলছিলেন-
হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী পাক (স) ইবনুদ দাদাহ-এর জানাযায় পদব্রজে গমন করেন, কিন্তু ঘোড়ার পিঠে চড়ে ফিরে ফিরে আসেন করেন।

জানাযা (লাশ) নিয়ে তাড়াতাড়ি অগ্রসর হওয়া

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নবী পাক (স) ইরশাদ করেন : তোমরা জানাযা (লাশ) নিয়ে তাড়াতাড়ি চল । কেননা যদি সে উত্তম লোক হয়ে থাকে তবে তোমরা তাকে উত্তম পরিণতির দিকে এগিয়ে দিলে । আর সে মন্দ হয়ে থাকলে তোরাম তাকে তোমার গর্দান থেকে দ্রুত নামিয়ে রাখলে ।

উহুদ যুদ্ধের শহীদগণ ও হামযা (রা) সম্পর্কে আলোচনা

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহুদের যুদ্ধের দিন নবী পাক (স) হযরত হামযা (রা)-র লাশের নিকট এলেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে দেখলেন, তার শরীফের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে লাশ বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বললেন : (হামযার বোন) সাফিয়্যা তার মনে আঘাত পাবে বলে আমার আশংকা না হলে আমি তার লাশ এই অবস্থায়ই ত্যাগ করতাম । 

হিংস্র জন্তু তাকে খেয়ে ফেলত এবং কিয়ামতের দিন সে এদের পেট থেকেই বের হত। রাবী বলেন, এরপর তিনি সাদা-কালো ডোরাযুক্ত একটি চাদর আনতে বলেন এবং তা দিয়ে তার কাফন পরান। তা এত ছোট ছিল যে, মাথার দিকে টানলে তার দুই পা বের হয়ে যেত, আবার তার পায়ের দিকে টানলে তার মাথা বের হয়ে যেত। 

রাবী বলেন, নিহতের সংখ্যা ছিল অনেক কিন্তু কাপড় ছিল অঙ্গ। তাই একজন, দুইজন, এমনিক তিনজনকে ও এক কাপড়ে একত্রে কারুন দেওয়া হয় এবং একই কবরে দাফন করা হয়। রাসূলে পাক (স) জিজ্ঞাসা করতেন ঃ এদের মধ্যে কার বেশী কুরআন জানা আছে? তিনি তাকেই কিবলার দিকে এগিয়ে রাখতেন। রাসূলে পাক (স) লাশগুলো দারুন করলেন, কিন্তু তাদের জানাযা পড়েননি।

জানাযায় শাসিন হওয়া

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স) রোগীকে দেখতে যেতেন, জানাযায় শামিল হতেন, গাধার পিঠে সাওয়ার হতেন এবং ক্রীতদাসের দাওয়াতও গ্রহণ করতেন। বানূ কুরায়যার (যুদ্ধের) দিন তিনি একটি গাধার পিঠে ছিলেন। এর লাগাম ও গদি খেজুর গাছের ছালের তৈরী ।

মহানবী (স)-এর মৃত্যুর অবস্থান ও স্থান দাফনের স্থান

হযরত আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (স) ইনতিকালের পর তাঁর দাফন সম্পর্কে সাহাবীগণের মধ্যে মতভেদ দেখা যায়। হযরত আবু বাক্ (রা) বলেন, আমি রাসুলে পাক (স)-এর নিকট থেকে কিছু শুনেছি, তা আমি ভুলি নাই। তিনি বলেছেন : আল্লাহ্ পাক তাঁর নবীকে যেখানে দাফন হওয়া পছন্দ করেন সেখানেই তাঁর মৃত্যু দেন। অতঃপর সাহাবীগণ তাঁকে তাঁর শয্যাস্থানে দাফন করেন।

মাইয়্যিতের সুনাম করা

হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলে পাক(স) ইরশাদ করেন : তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের ভালো দিকসমূহ আলোচনা কর এবং তাদের খারাপ দিকগুলো আলোচনা থেকে বিরত থাক ।

Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন !