রোযার বিবরণ
পবিত্র ইসলাম ধর্মের শারীরিক ইবাদাতসমূহের মধ্যে রোযা একটি অন্যতম শারীরিক "ইবাদাত। আর তাই প্রতিটি মুসলিম নরনারীর জন্য রোযা রাখা ফরয করে মহান আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কোরআনে কারীমে ঘোষণা করেন—“হে মোমিনগণ! তোমাদের উপর পবিত্র রমযান মাসের রোযা রাখা ফরয করা হয়েছে। তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেরূপ করব করা হয়েছিল, যাতে তোমরা প্রকৃত মুত্তাক্বী হতে পার।”
উল্লেখিত আয়াতের দ্বারা বুঝা গেল, যে ব্যক্তি রোযা না রাখবে সে মহা পাপী হবে। আর তার ঈমানও দুর্বল হয়ে পড়বে। রোযার ফযীলত সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন—“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে কেবলমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পরকালের ছাওয়াবের আশায় রোযা আদায় করবে, সে ব্যক্তির পূর্ববর্তী সকল (সগীরাহ গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যাবে।”
অন্য এক হাদীসে মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন—কিয়ামাতের দিন অন্যান্য লোক যখন হিসাব-নিকাশের ঝামেলায় ব্যস্ত থাকবে, সে সময়ে রোযাদারদের জন্য 'আরশের ছায়াতলে একটি দস্তরখান বিছিয়ে দেয়া হবে। সেখানে বসে তারা আনন্দের সাথে পানাহার করতে থাকবে। এরূপ অবস্থা দেখে অন্যান্য লোকেরা বলবে, একি আশ্চর্য ব্যাপার! এরা সেখানে বসে পানাহার করছে!
অথচ আমরা এখানে হিসাব-নিকাশের জন্য দায়বদ্ধ হয়ে আছি। তাদের এ কথার প্রতিউত্তরে বলা হবে, যখন দুনিয়াতে থাকাকালীন সময়ে তোমরা আনন্দে পানাহার করেছিলে, তখন এসব লোকেরা মহান আল্লাহর নির্দেশে এবং এ দিনের সুখ লাভের উদ্দেশ্যে পানাহার বন্ধ করে রোযা রেখে ক্ষুৎ-পিপাসায় কষ্ট সহ্য করেছিল।
রোযার প্রকারভেদ
রোযা মোট পাঁচ প্রকার। যথা ঃ ১। ফরয; ২। ওয়াজিব; ৩। সুন্নত; ৪। মুস্তাহাব; ও ৫। নফল। নিম্নে এগুলোর বিরণসমূহ পৃথকভাবে উল্লেখ
করা হল।
১। ফরয রোযা ঃ যেমন- পবিত্র রমযান মাসের রোযা।
২। ওয়াজিব রোযা ঃ যেমন—মান্নতের রোযা, রমযানের কাযা রোযা, নফল রোযা রাখার পর কোন কারণে ভাঙ্গা হলে তার কাযা।
৩। সুন্নত রোযা ঃ যেমন— পবিত্র মুহাররমের দশ তারিখের সাথে আগের দিন কিংবা পরের দিন মিলিয়ে দু'টি রোযা রাখা।
৪। মুস্তাহাব রোযা ঃ যেমন শাওয়াল মাসের যেকোন তারিখের ৬টি রোযা রাখা এবং প্রত্যেক চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখা।
৫। নফল রোযা : যেমন উল্লিখিত দিনগুলো বাদে অন্যান্য দিন রোযা রাখা। islamic kahini,
রোযার নিষিদ্ধ দিনসমূহ
বছরে মোট ৫ দিন রোযা রাখা হারাম। দু'ঈদের দিন এবং জিলহজ্জ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে অর্থাৎ কুরবানীর ঈদের পরের তিনদিন রোযা রাখা হারাম ।
যাদের উপর রোযা রাখা ফরয
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মু'মিন মুসলমান নর-নারীর ওপর পবিত্র রমযানের রোযা রাখা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে তাদের হায়েয-নিফাসকালীন সময়ের জন্য শিথিলতা আছে, ঐ অবস্থায় রোযা রাখা হারাম। তবে পাক-পবিত্র হয়ে এ রোযাসমূহের কাযা আদায় করতে হবে।
আর মুসাফির ও রুগ্ন ব্যক্তিদের জন্য ঐ অবস্থায় অর্থাৎ ভ্রমণ ও রুগ্ন থাকা অবস্থায় নিয়ম হল, তারা যদি রোযা রাখতে সক্ষম হয় তা হলে রাখবে আর সম্ভব না হলে সুস্থ এবং ভ্রমণ হতে ফিরে এসে (নিজ বাড়িতে) রোযার কাযা আদায় করতে হবে। আর যদি একেবারে বৃদ্ধ কিংবা অসুস্থ থাকে যে, রোযা রাখতে অসামর্থ্য, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে বিধান হল, তারা উক্ত রোযাসমূহের কাফ্ফারা আদায় করবে।
যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয
রোযা রাখার পরও যেসব কারণে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয এর কয়েকটি কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হল ।
(১) রোযা রাখার পর হঠাৎ করে এমন কঠিন রোগ দেখা দিল যে, ঐ মুহূর্তে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধপত্র সেবন না করলে রোগ বৃদ্ধি কিংবা মৃত্যুর ভয় থাকলে ।
(২) গর্ভবতী মহিলাদের রোযা রাখার ফলে নিজের কিংবা গর্ভস্থ সন্তানের প্রাণনাশের ভয় হলে।
(৩) রান্না-বান্নার কারণে যদি এমন পিপাসা হয় যে, প্রাণ নাশের আশংকা আছে এরূপ অবস্থা হলে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয। কিন্তু নিজের ইচ্ছাকৃত কোন কাজের জন্য এরূপ অবস্থা হলে রোযা ভঙ্গ করা যাবে না ।
যেসব কারণে রোযা না রাখা জায়েয
যেসব কারণে রোযা না রাখা জায়েয; এর কয়েকটি বিবরণ নিম্নে উল্লেখ করা হল ।
(১) যদি এমন রোগাক্রান্ত হয় যে, রোযা রাখলে রোগ বৃদ্ধি পাবে অথবা আরোগ্য লাভ করতে দেরি হবে। (২) ধর্মীয় কোন চিকিৎসকের ব্যবস্থায় থেকে যদি চিকিৎসক রোযা রাখতে বারণ করে ঔষধ খেতে দেন। (৩) রোগী যদি নিজেই হুঁশ-জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার দ্বারা জানতে পারে, রোযা রাখার কারণে কোনরূপ ক্ষতি হতে পারে তাহলে রোযা তরক করতে পারে। (ঘ) রোগ মুক্ত হওয়ার পর শরীরের দুর্বলতা থাকলে রোযার কারণে পুনরায় রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকলে। (ঙ) গর্ভবতী মহিলা অথবা স্তন্যদায়িনী কোন মহিলা রোযা রাখার কারণে নিজের কিংবা সন্তানের জীবনাশংকার কারণ হয়ে থাকলে ।
যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না
যে সব কারণসমূহ পাওয়া গেলে রোযা ভঙ্গ হবে না তা নিম্নরূপ :
(ক) ভুলবশতঃ স্বামী-স্ত্রী সহবাস কিংবা পানাহার করলে। (খ) স্বপ্নদোষ হলে। (গ) শরীরে তেল মাখলে। (ঘ) সুরমা লাগালে। (ঙ) অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে। (চ) ইচ্ছাকৃত অল্প করে বমি করলে। (ছ) গলার ভেতর মশা-মাছি, ধোঁয়া, ধূলা-বালি ইত্যাদি প্রবেশ করলে। (জ) কানে পানি ঢুকলে । ৯ । কোন মহিলাকে দেখার কারণে বীর্য বের হলে । (শহুরে বেকায়া)
যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় এবং কাযা ওকাফ্ফারা উভয়ই আদায় করতে হয়
নিম্নলিখিত চারটি কারণ পাওয়া গেলে রোযা ভঙ্গ হয় এবং এ কারণে কাযা ও কাফ্ফারা উভয়ই আদায় করতে হবে।
১। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন লোক খানা-পিনা করলে ।
২। ইচ্ছাকৃতভাবে কোনরূপ সহবাস করলে বা করালে।
৩। ইচ্ছাকৃতভাবে ঔষধ সেবন করলে।
৪। সিঙ্গা লাগাবার পর রোযা নষ্ট হয়েছে ধারণা করে খানা-পিনা
করলে।
কাফ্ফারার বিবরণ
রমজান মাসের রোযা ভঙ্গের কারণে অন্য সময়ে দুমাস তথা একাধারে ৬০ দিন রোযা রাখতে হবে। কিছু কিছু করে রাখা জায়েয নেই। রোযার মাঝখানে দুএকদিন বাদ পড়লে পুনরায় প্রথম হতে ৬০টি পূরণ করতে হবে। এমনকি এ ৬০ দিনের মধ্যে যদি দুঈদের দিনের কারণে রোযা ভঙ্গ করতে হয় তাতেও কাফ্ফারা আদায় হবে না।
বরং এর পর হতে পুনরায় লাগাতার ৬০টি রোযা রাখবে। ৬০ দিনের মধ্যে মহিলাদের হায়েযকালীন সময়ের রোযাসমূহ মাফ হবে। কিন্তু হায়েয হতে পাক হওয়ার পর মুহূর্তেই পুনরায় পূর্বের রোযাসহ ৬০টি রোযা পূর্ণ করতে হবে। আর যদি কাফ্ফারার রোযা রাখার মত শক্তি না থাকে, তাহলে রোযার পরিবর্তে ৬০ জন মিসকিনকে ভালোভাবে পেট পুরে দুবেলা খাওয়াতে হবে।
রোযার মাকরুহ সমূহ
যে সব কারণে রোযা মাকরুহ হয় নিম্নে তা উল্লেখ করা হল :
(ক) পরনিন্দা করলে এবং গালি-গালাজ করলে। (খ) দেরি করে ইফতারী করলে। (গ) স্বাদযুক্ত কোন বস্তু দ্বারা মাজন করলে। (ঘ) গরমের কারণে ঠাণ্ডা পানি দ্বারা ভেজা কাপড় শরীরে জড়ায়ে রাখলে। (ঙ) কোন কিছুর স্বাদ গ্রহণ করলে। (চ) ছোট শিশু সন্তানদেরকে কিছু চিবিয়ে দিলে, তবে শিশু যদি চিবিয়ে খেতে সক্ষম না হয় তাহলে মাকরুহ হবে না।
তদ্রূপ কোন মহিলার স্বামী বদমেজাজী হলে সে মহিলার (স্ত্রীর) জন্য তরকারী ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যের স্বাদ গ্রহণ করাতে অসুবিধা নেই। (ছ) রোযা রেখে মিথ্যাকথা বললে এবং ধোঁকাবাজী ইত্যাদি কাজ করলে। (ঝ) গরমের কারণে বার বার কুলি করলে। (শহুরে বেকায়া)
সেহরীর বিবরণ
রোযা রাখার উদ্দেশ্যে শেষ রাতে পানাহার করাকে ইসলামী শরী‘য়তের পরিভাষায় সেহরী খাওয়া বলে। সেহ্রী খাওয়া সুন্নত । ক্ষুধা না থাকলেও অন্তত দুএকটি খুরমা খেজুর বা আর না হলেও একটু পানি পান করবে, এতেও সুন্নত আদায় হবে ।
সেহরীর সময় যদি কেউ উঠে সেহরী না খেয়ে দুটি পানও খায় এতেও সেহরী খাওয়ার ছাওয়াব লাভ করবে ।
সেহরী খাওয়ার সময়
সেহ্রী যতটুকু সম্ভব দেরিতে খাওয়া ভালো। আবার এত দেরি করবে না যাতে সুবহে সাদেক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে এবং রোযা আদায়ে সন্দেহের সৃষ্টি হতে পারে ।
যদি সেহ্রী একটু তাড়াতাড়ি করে খেয়ে নিল এরপর চা, পান পানি ইত্যাদি খাদ্যও পানীয় পান করতে করতে সুবহে সাদেকের পূর্বে কুলি করে ফেলে, এতেও দেরীতে সেহ্রী খাওয়ার ছাওয়াব পাবে।
সেহ্রী খাওয়ার প্রকৃত সময় সূর্যাস্ত হতে আরম্ভ করে সুবহে সাদেকের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যে কয় ঘণ্টা হয় তার ৬ ভাগের শেষ ষষ্ঠভাগ। সুতরাং এর মধ্যে খানা খেয়ে শেষ ষষ্ঠাংশে চা, পান ইত্যাদি পান করলেও মুস্তাহাবের ছাওয়াব লাভ করা যায় ।
যে পর্যন্ত সুবহে সাদেক না হয় অর্থাৎ পূর্বদিকে সাদা বর্ণ দেখা না যায় সে পর্যন্ত সেহ্রী খাওয়া দুরস্ত। সুবহে সাদেক হয়ে গেলে আর যাওয়া জায়েয হবে না ।
রোযার নিয়্যত
উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আসূমা গাদাম্ মিন শাহরি রামাদ্বানাল মুবারাকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আন্তাস্থ ছামী'উল 'আলীমু ।
অর্থ : আমি আগামীকল্য রমজানের ফরয রোযা রাখার নিয়্যত করলাম। হে দয়াময় আল্লাহ্! তুমি আমার পক্ষ হতে এ রোযাকে কবুল কর ।
ইফতারীর বিবরণ
সারাদিন শরীয়তের নিয়মানুযায়ী রোযা রাখার পর সূর্যাস্তের সাথে সাথে যে পানাহার করে রোযা ভঙ্গ করা হয়, ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় তাকে ইফতারী বলে ।
যখন নিশ্চিতরূপে জানা যায়, সূর্য অস্ত গিয়েছে তখন দেরি না করে তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব। কেননা ইফতারীতে দেরি করা ঠিক নয়।
মেঘের দিনে কিছু সময় দেরিতে ইফতারী করা ভালো। কেবল ঘড়ির কাঁটার উপর নির্ভর করা ঠিক হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্যাস্তের ব্যাপারে কিছুমাত্র সন্দেহ থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত ইফতারী করা দুরস্ত হবে না ।
খুরমা খেজুর দ্বারা ইফতার করা উত্তম, খুরমা না পেলে কোন মিষ্টি দ্রব্য, মিষ্টি দ্রব্য পাওয়া না গেলে পানি দ্বারাই ইফতার করা ভালো। কোন কোন লোকের ধারণা, লবণ দ্বারা ইফতার করা ছাওয়াবের কাজ, এটি একটি মারাত্মক ভুল ধারণা ।
ইফতারীর দোয়া
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছুমতুলাকা ওয়া তাওয়াক্কালতু আলা রিক্কিকা ওয়া আত্ত্বারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
অর্থ ঃ হে আল্লাহ্! তোমার সন্তুষ্টি লাভ করার উদ্দেশ্যেই আমি রোযা রেখেছিলাম এবং তোমার দেয়া রিযিকের উপর ভরসা করেছিলাম। হে পরম করুণাময় ও দয়ালু। এখন তোমারই অনুগ্রহে ইফতার করছি।
তারাবীর নামাযের বিবরণ
পবিত্র রমযান মাসে এশার চার রাক'আত ফরয নামায আদায় করে দুরাক'আত সুন্নত নামাযের পর এ নামায পড়া হয়। তারাবীর নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। তারাবীর নামাযে পবিত্র কোরআন শরীফ খতম করায় অশেষ নেকী পাওয়া যায়, এ ছাড়া যেকোন সূরা দিয়েও এ নামায পড়া যায়।
তারাবীর নামায মোট বিশ রাক'আত তারাবীর বিশ রাক'আত নামায পড়া শেষ হলে জামা'আতের সাথে তিন রাক'আত বেতের নামায আদায় করে দুরাক'আত নফল নামায পড়ে দোয়া-দরূদ পড়ে মুনাজাত করবে। তারাবীর নামায জামা'আতের সাথেই পড়া উত্তম। এছাড়া একা একাও এ নামায (ওযরবশত) পড়া যায় ।
তারাবীর নামাযের নিয়্যত, উচ্চারণ ঃ নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই ছালাতিত তারাবীহি সুন্নতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'অবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ।
অর্থ ঃ তারাবীর দুরাক'আত সুন্নত নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার ।
Disclaimer: যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ! |