দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 55

দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি - Part 55

সন্তানকে উত্তম শিক্ষাদান করা ফরজ

রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেনঃ “পিতা নিজের সন্তানকে যা কিছু প্ৰদান করেন তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হলো ভালো শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ । 

প্রিয় নবী (স) বলেছেনঃ “যখন মানুষ মরে যায়, তখন তার আমল প্রসঙ্গ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিন বিষয়ের সওয়াব ও পুরস্কার মৃত্যুর পরও পেতে থাকে । প্রথমতঃ সে কোন সাদকায়ে জারিয়া করে গিয়ে থাকলে; দ্বিতীয়তঃ এমন কোন জ্ঞান যা থেকে জনগণ উপৃকত হতে থাকে; তৃতীয়তঃ নেকপুত্র যে তার জন্য
দোয়া করে।”

একবার রাসূলে করীম (স) ফরমালেন, কুরানের আলেমের মাতা-পিতাকে কিয়ামতের দিন টুপি পরানো হবে। তিনি ইরশাদ করেছেনঃ “যে কুরআনের জ্ঞান হাসিল করলো এবং তার উপর আমলও করলো তার মাতাপিতাকে কিয়ামতের দিন টুপি পরানো হবে। যার আলো. সে সূর্যের আলোর চেয়ে বেশি উত্তম হবে যে সূর্য দুনিয়ার ঘরগুলোকে আলোকিত করে থাকে। তাহলে যারা আমল করেছে তাদের ব্যাপারে তোমাদের ধারণা কি তা বল।” (আবূ দাউদ, হাকেম)

হযরত বুরাইদার (রা) রাওয়ায়েতে টুপির পরিবর্তে জান্নাতের পোশাকের উল্লেখ রয়েছে। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি কুরআন পড়লো, শিখলো এবং তার উপর আমল করলো কিয়ামতের দিন তার মাতা-পিতাকে নূরানীটুপি পরিধান করানো হবে। সূর্যের আলোর মতো তার আলো হবে এবং তার মাতা-পিতাকে এমন মূল্যবান দু'টি পোশাক পরানো হবে যার মূল্য সমগ্র দুনিয়াও হতে পারবে না। 

তখন মাতা-পিতা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করবেন, এ পোশাক তাদেরকে কিসের বিনিময়ে পরিধান করানো হচ্ছে। তাদেরকে বলা হবে, তোমাদের পুত্রের কুরান হাসিলের বিনিময়ে এটা পরিধান করানো হচ্ছে।”
“হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, সন্তানদের সাথে রহম করমপূর্ণ ব্যবহার কর এবং তাদেরকে ভালো শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দাও।” (তারগীব ও তারহী)
“যখন তোমাদের শিশুরা কথা বলতে শিখে তখন তাদেরকে কালেমাহ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু শিক্ষা দাও।”

হযরত ওমর (রা) বিন আবু সালাম প্রিয় নবী (স) এর স্ত্রী হযরত উম্মে সুলাইম (রা) এর পুত্র ছিলেন। নবী করীম (স) তাকে লালন-পালন করছিলেন । তিনি নিজের কাহিনী বর্ণনা করেছেনঃ “আমি তখন ছোট ছিলাম। রাসূল (স) এর কোলে থাকতাম। খাবার সময় আমার হাত প্লেটের চারপাশে ঘুরছিল । এ সময় রাসূলুল্লাহ (স) আমাকে বললেন, পুত্র! বিস্‌মিল্লাহ পড়ে ডান হাত দিয়ে খাও এবং নিজের দিক থেকে খাও। ব্যাস, এরপর থেকে এটাই আমার অভ্যাসে পরিণত হলো।”

“নিজের পরিবার-পরিজনকে নামাযের তাগিদ দাও এবং নিজেও তার পাবন্দ থাকো।”
“যখন তার বয়স সাত বছর হয় তখন সন্তানকে নামায পড়ার তাগিদ দাও। যখন তার বয়স দশ বছর হয়ে যায় তখন নামায পড়ার জন্য তার উপর কঠোরতা আরোপ কর এবং বয়স হবার সাথে সাথে তাদের বিছানা পৃথক করে দাও। ইসলামিক কাহিনী।

উপযুক্ত বয়সে সন্তানকে বিয়ে দিতে হবে

“আল্লাহ যাকে সন্তান দান করেছেন তার কাজ হলো, তার ভালো নাম রাখা, তাকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া এবং যখন সে বালেগ হবে তখন তার বিয়ে দিয়ে দেয়া। বালেগ হবার পর যদি সে সন্তানের বিয়ে না দেয় এবং কোন গুণাহতে লিপ্ত হয় তাহলে তার শাস্তি পিতার উপর আরোপিত হবে।” (বায়হাকী) অন্য এক স্থানে নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, তাওরাতে লিপিবদ্ধ আছে, “ যে ব্যক্তি কন্যার বয়স ১২ বছর হলো এবং সে তার বিয়ে দিলো না এবং সে কোন খারাপ কাজ করে বসলো তাহলে তার সে খারাপ কাজের শাস্তি পিতার উপর আরোপিত হবে।”

কোরআন হাদীসে মাতা-পিতার মর্যাদা

“এবং আপনার রব ফায়সালা করে দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ব্যতীত অবশ্যই অন্যের বন্দেগী করবে না এবং মাতাপিতার সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে থাকবে। তাঁদের মধ্যে কোন একজন অথবা উভয়েই তোমাদের সম্মুখে বার্ধক্যে পৌঁছে যায় তাহলে তাঁদেরকে উহ্ শব্দ পর্যন্ত বলবে না এবং তাদেরকে ধমকের স্বরে অথবা ভর্ৎসনা করে কোন কথার জবাব দেবে না। 

বরং তাদের সঙ্গে আদব ও সম্মানের সঙ্গে কথা বলো এবং নরম ও বিনীতভাবে তাঁদের সামনে অবনত হয়ে থাকো এবং তাঁদের জন্য এ ভাষায় দোয়া করতে থাকো যেমন। হে পরওয়ারদিগার! তাঁদের উপর (এ অসহায় জীবনে) রহম কর। যেমন শিশুকালে (সহায়হীন সময়ে) তাঁরা আমাকে রহমত ও আপত্য স্নেহ দিয়ে লালন-পালন করেছিলেন।” (বানি ইসরাঈল-২৩,২৪)

“হযরত আবি উমামাহ (রা) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসূল (স) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সন্তানের উপর মাতা-পিতার কি অধিকার রয়েছে? তিনি ইরশাদ করলেন, মাতা-পিতা তোমাদের বেহেশত এবং দোজখ।” (মিশকাত)
“হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টির মধ্যে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত রয়েছে।” (তিরমিজী)

হযরত জাহিমার (রা) পুত্র হযরত মাবিয়া (রা) বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাহিমা (রা) রাসূলুল্লাহ (স) এর খিদমতে হাজির হয়ে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সঙ্গে জিহাদে অংশগ্রহণ করাই আমার ইচ্ছা। আর এ জন্য আপনার সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি। বলুন এ ব্যাপারে আপনার নির্দেশ কি? রাসূল্লাহ (স) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মাতা কি জীবিত আছেন? জাহিমা (রা) বললেন,জ্বী হ্যাঁ। আল্লাহর শুকুর যে, তিনি জীবিত আছেন। হুযুর (স) ইরশাদ করলেন, তুমি ফিরে যাও এবং তাঁর খিদমতেই লেগে থাকো। কেননা, তাঁর পায়ের তলাতেই বেহেশত।” (নাছায়ী)

হযরত আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “সেই ব্যক্তি অপমানিত হোক, পুনরায় অপমানিত হোক, আবারো অপমানিত হোক।” লোকজন জিজ্ঞেস করলো, “হে আল্লাহর রাসূল! কোন্ ব্যক্তি?” তিনি ফরমালেন, “যে ব্যক্তি নিজের মাতা-পিতা উভয়ই বৃদ্ধ অবস্থায় পেলো অথবা কোন একজনকে অতঃপর (তাদের খিদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করলো না।”

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (স) কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ নেক আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয় আল্লাহর রাসূল (স) বললেন, “যে নামায সময় মত পড়া হয়।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, “এরপর কোন কাজ সবচেয়ে বেশি প্রিয়?” তিনি বললেন, “মাতা-পিতার সঙ্গে সুন্দর আচরণ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরপর? তিনি ফরমালেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।” (বুখারী)ইসলামিক কাহিনী।

হযরত আমর ইবনুল আছ (রা) এর পুত্র হযরত আবদুল্লাহ (রা) বলেছেন, এক ব্যক্তি প্রিয় নবী (স) এর খিদমতে হাজির হয়ে বলতে লাগলো, আমি আপনার নিকট হিজরত ও জিহাদের বাইয়াত করছি এবং আল্লাহর কাছে তার প্রতিদান চাচ্ছি। নবী করীম (স) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মাতা-পিতার মধ্যে কেউ জীবিত আছে কি? সে বললো, জ্বী হ্যাঁ। 

বরং আল্লাহর শুকুর যে, উভয়েই জীবিত আছেন। তিনি বললেন, তুমি কি বাস্তবিকই আল্লাহর নিকট নিজের হিজরত ও জিহাদের প্রতিদান চাও? সে বললো, জ্বী হ্যাঁ। আল্লাহর নিকট প্রতিদান চাই। নবী করীম (স) ইরশাদ করলেন, “তাহলে মাতাপিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাঁদের সাথে সুন্দর আচরণ কর।” (মুসলিম)

হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আমর (রা) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি মাতাপিতাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় রেখে প্রিয় নবী ((স) এর খিদমতে হিজরতের বাইয়াত করার জন্য উপস্থিত হলো। এ সময় হুযুর (স) বললেন, ‘যাও, মাতাপিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাঁদেরকে সেভাবে খুশী করে এসো যেভাবে কাঁদিয়ে এসেছো।' (আবু দাউদ)

তিনি আরো বলেন, এক ব্যক্তি নবী (স) এর নিকট জিহাদে শরীক হওয়ার উদ্দেশ্যে হাজির হলো। প্রিয় নবী (স) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার মাতাপিতা জীবিত আছেন?” সে বললো, “জ্বী হ্যাঁ। আল্লাহর শুকুর যে, জীবিত আছেন।” তিনি বললেন, “যাও। তাঁদের খিদমত করতে থাকো। এটাই জিহাদ।” (মুসলিম, আবু দাউদ)

হযরত আবূ সাঈদ (রা) বর্ণনা করেছেন, জনৈক ইয়েমেনী রাসূল (স) এর খিদমতে হাজির হলো। রাসূলুল্লাহ (স) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়েমেনে তোমার কি কেউ আছে?” সে বললো, “জ্বী হ্যাঁ। আমার মাতাপিতা রয়েছেন।” তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “তাঁরা কি তোমাকে অনুমতি দিয়েছেন?” সে বললো, “না।” এ সময় তিনি বললেন, “ঠিক আছে তুমি ফিরে যাও এবং উভয়ের নিকট থেকে অনুমতি নাও। যদি তাঁরা অনুমতি দেন তাহলে জিহাদে অংশগ্রহণ কর। নচেৎ তাঁদের নিকট উপস্থিত থেকে সুন্দর আচরণ করতে থাকো।” (আবু দাউদ)

একবার হযরত আবূ হুরায়রা (রা) দু'জন লোককে দেখে একজনকে জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যক্তি তোমার কে হন? সে বললো, হযরত! ইনি আমার শ্রদ্ধেয় পিতা। তিনি বললেন, দেখ কখনো তাঁর নাম ধরে ডেকো না । কখনো তাঁর আগে চলবে না এবং কোন মজলিসে তাঁর আগে বসার চেষ্টা করবে না।
(আল-আদাবুল মুফরিদ)

হযরত তাইলাহ (রা) বিন মিয়াছ নিজের এক ঘটনা বর্ণনাকালে বলেন, “একবার আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি কিছু গুণাহর কাজে ফেঁসে যাই। আমার দৃষ্টিতে তা কবিরাই গুণাহই ছিল। আমি অত্যন্ত পেরেশান হলাম এবং সুযোগ বুঝে তা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমরের নিকট উল্লেখ করলাম।” তিনি বললেন, “বলতো কি হয়েছে? আমি তাঁকে ঠিক ঠিক সব বললাম।” আমার কথা শুনে তিনি বললেন, “এটা তো কবিরাহ গুণাহ নয়; কবিরাহ গুণাহ তো মাত্র ৯টি। 

শিরক করা, নাহক কাউকে হত্যা করা, জিহাদ থেকে পিঠ ফিরিয়ে রাখা, শরীফ আওরতদের ওপর তোহমত আরোপ করা, সূদ খাওয়া, ইয়াতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা, মসজিদে কুফরী আলাপ করা, দ্বীন সম্পর্কে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা এবং মাতাপিতার নাফরমানী করে অথবা অবাধ্য হয়ে তাঁদেরকে কাঁদানো।” এ কথা বলার পর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি ভাই, তুমি কি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতের প্রবেশের ইচ্ছা রাখো?

” আমি বললাম, “হযরত, কেন চাইবো না। আল্লাহর কসম আমি তা-ই চাই।” হযরত আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা বলতো,তোমার মাতাপিতা কি জীবিত আছেন?” আমি বললাম, “জ্বী হ্যাঁ। আম্মাজান জীবিত আছেন।” তিনি বলতে লাগলেন, “আল্লাহর কসম! যদি তুমি মাতার সাথে নরম ও সম্মানের সাথে কথা বলো, তাঁর প্রয়োজনের কথা খেয়াল রাখো তাহলে অবশ্যই বেহেশতে যাবে । বাস, কবিরাহ গুণাহ থেকে বেঁচে থাকো । islamic history,

হযরত আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, হুযুর (স) ফরমিয়েছেন, “মাতাপিতার স্নেহ, ভালোবাসা, লালনপালন এবং কষ্ট সহ্যের বদলা যদি সন্তানের পক্ষ থেকে কিছু হয় তাহলে সে যদি পিতাকে কারোর গোলাম অবস্থায় পায় অথবা মাতাকে বাঁদী হিসেবে পায় তাহলে তাঁদেরকে ক্রয় করে আযাদ করে দেবে।” (মুসলিম)
হযরত আবূ হুরায়রাহ (রা) বর্ণনা করেছেন যে, “একবার হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) জনৈক ইয়েমেনীকে নিজের মাতাকে পিঠে বসিয়ে কা'বা শরীফ তাওয়াফ করতে দেখলেন।”

হযরত আবদুল্লাহ (রা) কে দেখে সে জিজ্ঞেস করলো, “বলুন আমি তো মাতার বদলা দিয়ে দিয়েছি।” হযরত আবদুল্লাহ (রা) বললেন, “মাতার বদলা! এটা তো তাঁর এক আহ শব্দেরও বদলা হয়নি।”
একবার মারওয়ান (রা) হযরত আবূ হুরায়রাহ (রা) কে কিছুদিনের জন্য নিজের স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছিলেন। সে সময় তিনি জুল হালিফায় অবস্থান করছিলেন ৷ তাঁর মাতা কিছু দূরে অন্য এক বাড়িতে ছিলেন। 

যখনই তিনি বাইরে যাওয়ার ইরাদা করতেন, তখনই প্রথমে এসে মাতার দরজায় দাঁড়াতেন এবং বলতেন, “প্রিয় আম্মাজান! আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।” ভেতর থেকে বলতেন, “প্রিয় পুত্র! ওয়াআলাই কুমুস্ সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু। অতঃপর হযরত আবু হুরাইরাহ (রা) বলতেন, আম্মাজান! শৈশবকালে যেমন আপনি স্নেহ ও মমতা দিয়ে আমাকে লালন পালন করেছিলেন তেমনি যেন আল্লাহ পাক আপনার উপর রহম করেন। 

তিনি জবাবে বলতেন, প্রিয় পুত্র! এ বৃদ্ধ বয়সে তুমি আমার সাথে যে ধরনের সুন্দর আচরণ করেছ এবং আরাম দিয়েছ আল্লাহও যেন তোমার প্রতি সে ধরনের রহমত নাযিল করেন।”
অতঃপর তিনি যখন বাইরে থেকে আসতেন এবং ঘরে প্রবেশ করতেন তখন তেমনিভাবে মাতাকে সালাম করতেন ও একই কথা বলতেন।

হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি মাতাপিতা সম্পর্কিত আল্লাহর নাযিলকৃত হুকুম আহকাম এবং হেদায়াত মানা অবস্থায় সকাল করলো, সে যেন নিজের জন্য জান্নাতের দু'টি দরজা খোলা অবস্থায় সকাল করলো। যদি মাতাপিতার মধ্যে কোন একজন হয় তাহলে যেন জান্নাতের একটি দরজা খোলা অবস্থায় পেল।  islamic story,

আর যে ব্যক্তি মাতাপিতা সম্পর্কিত আল্লাহর হুকুম ও হেদায়াত অমান্য করলো, তাহলে তার জন্য জাহান্নামের একটি দরজা খোলা পেল। সে ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, “হে আল্লাহর রাসূল! যদি মাতাপিতা তার সঙ্গে বাড়াবাড়ি করে তাহলেও? তিনি বললেন, যদি বাড়াবাড়ি করে থাকেন তাহলেও। যদি বাড়াবাড়ি করে থাকেন তাহলেও । যদি বাড়াবাড়ি করে থাকেন তাহলেও।” (মিশকাত)

Disclaimer:
যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে দোযখের কঠোর আযাব ও বেহেশতের মহা শান্তি নিয়ে তাই আমরা চাই যাতে সবাই সঠিক শিক্ষা পায় এজন্য আমরা অনেক সতর্কতার সাথে এই ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছি যাতে ভুল কোন কিছু না হয় তারপরও যদি আপনার চোখে পড়ে কোন ধরনের ভুল হয়েছে তাহলে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমাদের ই-মেইল anwaraliapps@gmail.com বাংলায় লিখতে গিয়ে হয়তো কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে তাই আমাদের অনুরোধ রইলো যদি আপনার চোখে এরকম কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

যদি এই পোস্ট আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন !